রাহুল দেব, রায়গঞ্জ: টানা বৃষ্টিতে কুলিক নদীর জল বেড়েছে অনেকটাই। নদীর জলস্তর বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে রায়গঞ্জেও(Raiganj)। ফুঁসতে থাকা কুলিকের জন্য যাতায়াত তো বটেই, মৃতদেহ সৎকারের ক্ষেত্রেও প্রবল সমস্যায় পড়েছেন গৌরী এলাকার মানুষজন। এই পরিস্থিতিতে মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে পরিবার পরিজনদের ভরসা একমাত্র নৌকা। রবিবার সেই ছবিই ধরা পড়েছে
পাড়ারপুকুর ঘাট এলাকায় সেতু না থাকায় ওই এলাকার মানুষ যে সমস্যায় জর্জরিত, সেই খবর একাধিকবার উত্তরবঙ্গ সংবাদে প্রকাশিত হয়েছে। ওই এলাকায় কুলিক নদী পারাপারে একমাত্র ভরসা হাতে টানা নৌকা। নদীর দু’পাশে পোঁতা বাঁশের মধ্যে মোটা দড়ি টাঙানো রয়েছে। সেই দড়ি টেনেই নৌকায় নদী পারাপার করেন এলাকার মানুষজন।
রবিবার দেখা যায়, নদীর ওপারে মৃতদেহ নিয়ে উপস্থিত হয়েছেন মৃতের প্রায় একশোজন পরিজন। তাঁরা মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানে আসবেন। কিন্তু জল এতটাই বেড়েছে যে নৌকা ছাড়া গতি নেই। অগত্যা নৌকায় মৃতদেহ চাপিয়ে তাঁরা বাঁশ দিয়ে নৌকা বয়ে শ্মশানে উপস্থিত হন। তাঁদের একজন মহেশ সিং বলেন, ‘নদীর জল কোনওভাবে বেড়ে গেলে নৌকা ছাড়া উপায় থাকে না। তখন মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যেতেও নৌকাই ভরসা। এভাবেই চলছে যুগ যুগ ধরে। পঞ্চায়েত কিংবা জেলা প্রশাসন, কারও হুঁশ নেই।’
গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কমল সিংহ রায়কে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর উত্তর, ‘গরমের সময় নদীতে তেমন জল থাকে না। তখন খুব সহজেই মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীর জলস্তর অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তাই নৌকা করে মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যেতে হচ্ছে।’
উপপ্রধান যাই বলুন, মৃতদেহ শ্মশানে নিয়ে যাওয়ার সময় কোনও কারণে ভরা কুলিকে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটলে একাধিক চিতা একসঙ্গে জ্বলে উঠতে পারে।