তপন বকসি, মুম্বই: বলিউড যৌনতা, মাদক আর রক এন রোলের জায়গা নয়। একথা নিজের বক্তব্যে বুঝিয়ে দিলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ে নিজের কথার পক্ষে যুক্তি দিয়ে স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে শায়েরীর সঙ্গে অভিনেতা বলেন, ‘বলিউড বেশ্যাঙ্গন নয়…কুছ তো ট্রোল কহেঙ্গে…ট্রোল কা কাম হ্যায় কহেনা…।’ তারপরই তিনি তার কথার সঙ্গে যোগ করেন, ‘বলিউড যৌনতা, মাদক এবং রক এন রোলের জায়গা নয়। আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, বলিউডের এই জমি প্রতিভাধর এবং কঠোর পরিশ্রম করতে সক্ষম ও উদ্যোগী যেকোনও মানুষকে সুযোগ দেয়।’
তিনি বলেন, ‘কেউ ভাবতে পেরেছিলেন বিহার থেকে আসা, যাঁকে দেখে কেউ দুবার ফিরেও তাকাবে না, এমন চেহারার একজনকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সুযোগ দেবে? প্রথম হিন্দি ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলাম মনোজ কুমারের ছবি ‘সাজন’-এ। সেটা ছিল ক্যামেরার সামনে শুধু হেঁটে যাওয়ার একটি শট। আর এরপর একদিন সেই মনোজ কুমারের ছবি ‘ক্রান্তি’-তে আমি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলাম। তাহলে এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ঘিরেই কেন এত বিশ্বাস ভঙ্গের গল্প তৈরি হয় আজকাল?’ প্রশ্ন তোলেন শত্রুঘ্ন সিনহা।
তাঁর কথায়, ‘সিনেমার প্রযোজক-পরিচালক বা অভিনেতাদের ছেলে-মেয়েরা যদি তার বাবা-মার পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনয়ের জন্য আসেন, তাহলে দোষটা কোথায়? এতো সব জীবিকাতেই রয়েছে। শিল্পপতির ছেলে বা মেয়ে তাদের সহজাত প্রবৃত্তি থেকেই শিল্পপতির আসন অলংকৃত করেন। সবক্ষেত্রেই মেধাই চূড়ান্ত কথা বলে। পারিবারিক পরিচয় নয়। আপনি যদি সত্যিই ভালো বা যোগ্য না হন, তাহলে আপনাকে সরে যেতে হবে। হিন্দি সিনেমার ইন্ডাস্ট্রিতে পরিচিত অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রযোজক-পরিচালকদের ছেলেমেয়েরা জমকালোভাবে আবির্ভূত হয়েও তাই সময়ের নিয়মে তারা হারিয়ে গিয়েছে অনেকেই। আর একথাই প্রমাণ করে মেধাই সব।’ কন্যা সোনাক্ষি সম্বন্ধে তিনি জানান, তাঁর মেয়ে সোনাক্ষিকে তিনি কোনও প্রযোজক-পরিচালকের কাছে সুপারিশ করেননি। ওঁ যা করেছে, নিজে করেছে। আজ ও সঞ্জয়লীলা বনশালির মতো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করছে। বিনোদন