মেলবোর্ন: ২২ নভেম্বর পারথে প্রথম টেস্ট। প্রায় সপ্তাহ দুয়েক আগেই বর্ডার-গাভাসকার ট্রফির উদ্বোধনী টেস্টের ১৩ জনের নাম ঘোষণা করে দিল অস্ট্রেলিয়া। জল্পনামাফিক অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের অধিনায়ক নাথান ম্যাকসুইনি জায়গা পেয়েছেন। উসমান খোয়াজার সঙ্গে প্রথম টেস্টে সম্ভবত ওপেনও করতে চলেছেন। অজি নির্বাচক কমিটি এবং টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে যে ইঙ্গিত পরিষ্কার।
১৩ সদস্যের দলে বাকিরা হলেন প্যাট কামিন্স (অধিনয়াক), স্কট বোলান্ড, অ্যালেক্স ক্যারি, জোশ হ্যাজেলউড, ট্রাভিস হেড, জোশ ইনগ্লিস, উসমান খোয়াজা, মার্নাস লাবুশেন, নাথান লায়োন, মিচেল মার্শ, নাথান ম্যাকসুইনি, স্টিভেন স্মিথ ও মিচেল স্টার্ক।
ওপেনিংয়ে নির্বাচকদের পছন্দ ম্যাকসুইনি হলেও অ্যাডাম গিলক্রিস্টের বাজি আবার ইনগ্লিস। ঘোষিত তেরোজনের দলেও রয়েছেন। তবে মূলত দ্বিতীয় উইকেটকিপার ও ব্যাকআপ ব্যাটার হিসেবে। গিলক্রিস্ট অবশ্য চান, খোয়াজার সঙ্গে ইনগ্লিস ওপেন করুন। প্যাট কামিন্সদের উদ্দেশে সেই পরামর্শই ভাসিয়ে দিলেন এদিন।
ম্যাকসুইনিকে ওপেনার হিসেবে ভাবা হলেও ভারতীয় ‘এ’ দলের ম্যাচের আগে কখনও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ওপেন করেননি। সেখানে ইনগ্লিস সাদা বলের ফরম্যাটে নিজের জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। শেফিল্ড শিল্ডে দুরন্ত পারফরমেন্সের সুবাদে লাল বলেও নিজের দাবি জোরদার করে নিয়েছেন।
গিলক্রিস্টের যুক্তি, ‘ইনগ্লিস রিজার্ভ ব্যাটার হিসেবে দলে থাকলেও আমার ধারণা ম্যাকসুইনিই ওপেন করবে। কিন্তু প্রশ্ন, গত বছরের মতো আসন্ন সিরিজেও কি ছয় ব্যাটারের স্ট্র্যাটেজি দেখা যাবে? তাহলে সেরা ছয়ে ইনগ্লিসের অবশ্য থাকা উচিত। এখন দেখার নিজেদের স্ট্র্যাটেজি এবার ওরা বদলায় কি না। স্ট্র্যাটেজি এক থাকলে টপ অর্ডারেই ঠিকঠাক হবে ইনগ্লিস। যে দায়িত্ব ওর জন্য খুব বেশি চাপের হবে বলে মনে হয় না। সাদা বলের ফরম্যাটে নতুন বল সামলায়। টেস্টেও এটা কোনও ইস্যু হবে না।’
ম্যাকসুইনির প্রশংসা করলেও ইনগ্লিসের হয়ে গিলক্রিস্টের যুক্তি, ‘ম্যাকসুইনি ভালো খেলোয়াড়। নির্বাচক-টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে, ওপেনিংয়ের জন্য ম্যাকসুইনির ব্যাটিং স্টাইল যথাযথ। ইনগ্লিস সেখানে আক্রমণাত্মক ব্যাটার। আর আমার মতে, আক্রমণই হল রক্ষণের সেরা হাতিয়ার। ম্যাকসুইনির খেলার ধরন সেখানে আলাদা। পাশাপাশি ইনগ্লিসের অলরাউন্ড দক্ষতা দলের জন্য অ্যাডভান্টেজ হতে পারে। আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি, শেষপর্যন্ত দল কী সিদ্ধান্ত নেয়।’

