ভাস্কর বাগচী, শিলিগুড়ি: উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of North Bengal) দীর্ঘদিন ধরে উপাচার্য না থাকার কারণ হিসেবে রাজ্যপাল মনোনীত বিদায়ি উপাচার্যকেই দায়ী করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। শুক্রবার শিলিগুড়িতে (Siliguri) সাহিত্য উৎসব ও লিটল ম্যাগাজিনমেলায় এসে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদায়ি উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রনের ওপর দায় চাপালেন শিক্ষামন্ত্রী। অন্যদিকে, দক্ষিণ দিনাজপুর ও দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হয়ে গেলেও, সেখানে এখনও উপাচার্যরা যোগদান না করা নিয়ে মন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, ‘দ্রুত উপাচার্যরা কাজে যোগ দেবেন।’
দীর্ঘদিন ধরেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন রয়েছে। বহুবার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে প্রশাসনিক স্তরে জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত উপাচার্য নিয়োগ করেনি উচ্চশিক্ষা দপ্তর। ব্রাত্যর মন্তব্য, ‘উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে যিনি রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্য ছিলেন তিনি কোনও রিকুইজিশনই পাঠাননি। রাজ্যপালের মনোনীত উপাচার্য বিকাশ ভবনকে বাইপাস করে চালাতে গেলে যেভাবে মুখ থুবড়ে পড়ার মতো অবস্থা হওয়ার কথা, সেরকমই হয়েছে।’ তবে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা কাজে যোগ দেননি, তাঁরা খুব দ্রুত কাজে যোগ দেবেন বলে এদিন আশা প্রকাশ করেন ব্রাত্য।
এদিকে, কেন্দ্রের রিপোর্টে পশ্চিমবঙ্গে ড্রপআউটের সংখ্যা শূন্য হওয়া নিয়ে ব্রাত্যর বক্তব্য, ‘গুজরাট, বিহার, উত্তরপ্রদেশে যেখানে এত ড্রপআউট, সেখানে আমাদের এখানে ড্রপআউট নেই। এটা সম্ভব হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। যিনি কেন্দ্রের সাহায্য না পেয়েও স্কুলগুলিতে মিড-ডে মিল পৌঁছে দিচ্ছেন।’
সরকারি স্কুলে ছাত্রছাত্রী ভর্তি না হওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বললেন, ‘বিশ্বায়নের পর চাকরির ভাষা হয়ে গিয়েছে ইংরেজি। এটা বাংলামাধ্যমে একটা বড় প্রভাব ফেলেছে। ইংরেজি শেখা দরকার, কিন্তু মাতৃভাষাকে ভুলে নয়। এসব না হলে হয়তো একটা সময়, সাহিত্যিক থাকবেন, তবে পাঠক থাকবেন না। থিয়েটার থাকবে, অভিনেতা থাকবে না।’ খুব শীঘ্রই কলেজে কলেজে ছাত্র ভোট ফের চালু করার বিষয়টি নিয়ে খুব শীঘ্রই সিদ্ধান্ত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য।