নিশিগঞ্জ: রং খেলার অছিলায় গত ১৫ মার্চ এক বধূকে নিশিগঞ্জে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতিতা বধূ রবিবার রাতে নিশিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে চারজন তরুণের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার ভোরেই তিন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যদিও আরেক তরুণ গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধৃতদের নাম সৌরভ সরকার, অমিত বর্মন ও সুকান্ত বর্মন। এদিন তিনজনকে মাথাভাঙ্গা আদালতে তোলা হয়। তাদের সাতদিনের পুলিশি হেপাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রবিবার রাতেই ওই বধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য মাথাভাঙ্গা মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
কোচবিহারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সন্দীপ গড়াই জানিয়েছেন, মহিলার বয়ান অনুযায়ী রং খেলার অছিলায় গত ১৫ মার্চ দুপুর ২টো নাগাদ চারজন তরুণ বাড়িতে ঢুকে পড়ে। বধূ তখন বাড়িতে একাই ছিলেন। গ্রামে তখন হোলির হুল্লোড় চলছে। প্রথমে এক তরুণ রং দেওয়ার নাম করে মহিলাকে অশ্লীলভাবে স্পর্শ করে এবং পরে তাঁকে ধর্ষণ করে। বধূ আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে পরে তাঁর মুখে কাপড় গুঁজে দিয়ে বাকি তিনজন পরপর অত্যাচার চালায়। এমনকি গণধর্ষণের কথা কাউকে জানালে মহিলাকে ও তাঁর সন্তানকে মেরে ফেলা হবে বলেও শাসিয়ে যায়। এরা সকলেই কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা। তাদের কেউ পেশায় টোটোচালক, কেউ আবার শ্রমিকের কাজ করে।
এদিন দুপুরে নিশিগঞ্জের ওই এলাকায় থমথমে পরিবেশ লক্ষ করা গিয়েছে। বাড়ির দাওয়ায় বসে ওই বধূর বৃদ্ধা শাশুড়ি বলেন, ‘আমি সেদিন দুপুরে ঘাস কাটতে গিয়েছিলাম। সেই সময় বৌমার ওপর অত্যাচার হয়েছে। বৌমা খুব একটা বাড়ি থেকে বের হয় না। ছেলে কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে।’ খবর, বধূর স্বামী সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন। তাঁর কথায়, ‘অনেক চিন্তার পর আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভেবেই পুলিশকে জানিয়েছি। ন্যায়বিচার পাওয়ার ভরসা করছি।’ ওই তরুণদের এই কুকীর্তির ঘটনায় গ্রামবাসীরা রীতিমতো হতবাক। দোষীদের শাস্তির দাবিতে বাসিন্দারা সরব হয়েছেন।