বিশ্বজিৎ সরকার, হেমতাবাদ: অনুপ্রবেশকারী ও গোরু পাচারকারীদের শনাক্ত করতে হেমতাবাদ (Hemtabad) ব্লকের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী (India-Bangladesh border) বিভিন্ন এলাকায় বিএসএফের উদ্যোগে বাংলাদেশ সেল (Bangladesh cell) গঠন করা হল। বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় গোরু পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারী যারা এই মুহূর্তে ভারতে প্রবেশ করে রয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে বিএসএফের তরফে তৈরি করা হয়েছে এই বাংলাদেশ সেল। যা অত্যন্ত গোপন রেখেছে বিএসএফ। বাংলা বলতে পারা বিএসএফ জওয়ানদের সীমান্তে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারাই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে মিশে গিয়ে প্রকৃত বাংলাদেশি পাচারকারী ও অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতে পারে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, বরাবরই শীতের রাতকে গোরু পাচারকারীরা বিশেষভাবে কাজে লাগানোর চেষ্টা করে থাকে। কারণ, এই সময় সন্ধে হতে না হতেই সীমান্ত এলাকার অধিকাংশ মানুষ ঘরে ঢুকে পড়েন। পথঘাটও থাকে অনেকটা জনশূন্য। পাশাপাশি কুয়াশাচ্ছন্ন রাতের দিকেও তারা বিশেষভাবে লক্ষ রাখেন। সন্ধে নামতেই একদিকে যেমন এলাকায় লোকজনের সংখ্যা কমে যায়, তেমনই কুয়াশার রাতে সহজে একপ্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত দেখা সম্ভব হয় না। আর এই সুযোগে বাংলাদেশে পাচারের কাজ বিশেষ করে গোরু পাচার করতে সুবিধা হয়। এই কথা মাথায় রেখে সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে বিএসএফ সূত্রের খবর। হেমতাবাদ ব্লকের, চৈনগর, মাকরহাট, মহিষাগাঁও, মালন, মালদোখণ্ড, সনগাঁও বিওপি সীমান্তঘেঁষা বিভিন্ন এলাকা থেকেই গোরু পাচারের খবর কানে আসে। এক্ষেত্রে এলাকার বিভিন্ন নদীপথের উন্মুক্ত সীমান্তগুলি অর্থাৎ কাঁটাতারের বেড়াহীন জায়গাগুলিকে বিশেষভাবে কাজে লাগানো হয়। ভুট্টা ও সর্ষের গাছ নষ্ট হয়ে যায়, গোরু পাচারকারী ও দুষ্কৃতীদের তাণ্ডবে। সন্ধে নামলেই একদিকে যেমন এলাকায় লোকজন কমে যায়, তেমনই কুয়াশার রাতে দৃশ্যমানতা কমে যায়। আর এই সুযোগে বাংলাদেশে পাচারের কাজ, বিশেষকরে গোরু পাচার করতে সুবিধা হয়। এই কথা মাথায় রেখে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএসএফের এক আধিকারিক বলেন, ‘সীমান্তে সর্বত্রই বিএসএফের কড়া নজরদারি রয়েছে। চোরাচালান রুখতেও তাঁরা সক্রিয়। বিএসএফ সক্রিয় রয়েছে বলে গোরু উদ্ধার হচ্ছে, পাচারকারীরা ধরা পড়ছে।’
এই মুহূর্তে বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্তারাও মুখে কুলুপ এঁটেছেন। ফ্রন্টিয়ারের এক কর্তা বলেন, ‘সীমান্তে সর্বদা বিএসএফের করা নিরাপত্তা জারি রয়েছে।’