পরাগ মজুমদার, ভগবানগোলা: ওপার বাংলা ঘেঁষা মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার অন্তর্গত এলাকায় চাষের কাজে বিএসএফের সঙ্গে প্রশাসন বৈঠকের পরেও কাটছেনা জটিলতা। সমাধান সূত্র অধরা থেকে যাওয়ার ফলে কৃষকদের মধ্যে উৎকণ্ঠা থাকছে চরমে।
মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার সীমান্তবর্তী চর লবণগোলা এলাকায় পাট চাষে বিএসএফ ফতোয়া জারি করায় চাষিদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ, এর আগে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে ৬০ মিটার দূরত্বে পাট চাষের অনুমতি দিয়েছিল বিএসএফ। কিন্তু নতুন করে বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, জিরো পয়েন্ট থেকে ১০০ মিটারের বেশি ছেড়ে তবেই পাট চাষ করতে পারবেন চাষিরা। বিএসএফের এই নিষেধাজ্ঞা জারির ফলে পাট চাষের মরশুম হারানোর আশঙ্কায় রয়েছেন চাষিরা। পাট চাষ বন্ধ হলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে বলেও জানান তাঁরা।
এই বিষয়ে জেলার পাটচাষি আলিমুদ্দিন শেখ, নজরুল ইসলামের অভিমত, বিএসএফ নিরাপত্তার নাম করে সীমান্তে একেক সময় একেক রকম ফতোয়া জারি করে। এতে সীমান্তের চাষ আবাদ শিকেয় ওঠে। এবার পাট চাষে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তাতে ওই চাষের সময় পেরিয়ে যাবে। এভাবে বিএসএফ সীমান্তের চাষিদের অর্থনীতিতে কোপ মেরে চলেছে।
এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় বিধায়ক প্রাথমিকভাবে বিএসএফের সঙ্গে দিন কয়েক আগে দেখাও করেন। কিন্তু ওই আলোচনায় কোনও সমাধান সূত্র বের হয়নি। ফলে বিডিও থেকে শুরু করে বিধায়ক রিয়াত হোসেন সরকার, স্থানীয় পঞ্চায়ত প্রতিনিধি এবং বিএসএফ প্রতিনিধি শুভম পাঠক বৈঠকেও বসেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিএসএফ-এর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের তরফ থেকেই জানানো হবে বলেই এদিন মন্তব্য করেন শ্রী পাঠক।
বিডিও নাজির হোসেন জানান, ‘যে সমস্ত ফসল লম্বা হয় সেগুলি সীমান্তে লাগানো যাবে না। এতে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হতে পারে।’ বিএসএফ কর্তারা জানিয়েছেন, কাঁটাতার থেকে ১০০ মিটার দূরে চাষিকে ফসল লাগাতে হবে।