সৌরভ রায়, কুশমণ্ডি: নিত্যদিনের মতোই গেছিলেন ওপারে চাষ করতে। কিন্তু বিপত্তি বাধল এক অনুপ্রবেশকারী সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর হাতে ধরা পড়ায়।
সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে অবৈধভাবে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ায় কুশমণ্ডি থানা এলাকার পূর্ব মোল্লাপাড়া গ্রামের নারায়ণ রায়কে আটক করেছিল বিজিবি। আর তাঁকে পড়শি দেশের সীমান্তরক্ষীদের হাত থেকে ছাড়াতে শুক্রবার দিনভর চলল নাটক। তিনি অবশ্য শনিবার আবার সীমান্তে নিজের পরিচয়পত্র জমা রেখে জিরো পয়েন্টে কাজ করতে যান। ফিরে আসেন বিকেলে।
ততক্ষণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার সহ বিএসএফের আধিকারিক এবং কুশমণ্ডি থানার আইসি তরুণ সাহা। তাঁরা কথা বলেন নারায়ণ রায়ের সঙ্গে। কাকইট ক্যাম্পে বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশকর্তারা।
নারায়ণ সরকারের বক্তব্য, ‘গতকাল আমি কাঁটাতারের ওপারে কাজ করতে যাওয়ার পরে আমাকে একদল লোক জোর করে তুলে নিয়ে যায় বাংলাদেশের বিজিবির এনায়েতপুর ক্যাম্পে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় মেডিকেল করার জন্য। প্রথমে কিছুই বুঝতে পারিনি, কেন আমাকে বিডিআরের হাতে তুলে দিয়েছিল বাংলাদেশের লোকজন।’
গ্রামের শিক্ষক বৈদ্যনাথ সরকারের কথায়, ‘এমন ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেনি। বহু অনুপ্রেবশকারীকে আটক করেছে বিএসএফ। সীমান্তরক্ষীদের হাতে আটক বাংলাদেশিকে ছাড়াতে জিরো পয়েন্টে কাজ করতে যাওয়া ভারতীয়দের কোনওদিনই বাংলাদেশের মানুষ জোর করে তুলে নিয়ে বিজিবির হাতে দেয়নি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের কোনও লোকের এপারে কোনও জমি নেই। অথচ ভারতীয়দের ওপারে সবসময় যেতে হয়, কারণ জমি আছে। এই ঘটনা চলতে থাকলে বহু মানুষ বাঁচার অধিকার হারিয়ে ফেলবে।’ পঞ্চায়েত সদস্য সাবিত্রী সরকারের স্বামী মরজেন সরকার বলেন, ‘বহু মানুষ আছেন, যাদের ওপারে জমি আছে। এমন ঘটনা বিএসএফের উচিত চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া।’