নয়াদিল্লি: অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে পেশ করা ইডি’র চার্জশিটে বিপাকে কেন্দ্রেরই বাহিনী। বাংলাদেশে গোরু পাচারে বিএসএফ যোগের কথা চার্জশিটে উল্লেখ করল ইডি। ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, রাত ১১টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত সীমান্তের নির্দিষ্ট জায়গা খুলে দিত বিএসএফ। এরপর পাচার চলত। চার্জশিটে এও উল্লেখ রয়েছে, গোরুর সংখ্যা গুণে তা বাবদ যে কমিশন তা দেওয়া হত বিএসএফ কর্তাদের। অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে পুলিশ বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে গোরু বোঝাই ট্রাক পাঠাতে সাহায্য করত। বোঝার জন্য সেইসব ট্রাকচালকদের হাতে একটি নির্দিষ্ট ছাপ দেওয়া টোকেন থাকত।
এদিকে বিএসএফের প্রসঙ্গ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। এনিয়ে শুরু থেকেই বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করছিল তৃণমূল। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘ইডি চার্জশিটে বিএসএফের কথা বলেছে। বিএসএফ চালায় কে? অমিত শা। তাহলে তাঁকে কেন এজেন্সি ধরছে না?’। বিএসএফের ভূমিকা নিয়ে এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও আক্রমণ শানিয়েছিলেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, গোরু পাচারটা হত কীভাবে? গোরুতো পিঁপড়ে নয় যে কাঁটাতারের নীচ দিয়ে গলে যাবে, পাখিও নয় যে উড়ে যাবে। যদিও এই নিয়ে পালটা বলেছে বিজেপিও। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, বিএসএফ তো অনুব্রতকে গোরু পাচার করার আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি পাঠায়নি। তবে বিএসএফের যোগের কথা উঠতেই সীমান্তে সুরক্ষার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে।