মুর্শিদাবাদ: রবিবার বিকেল নাগাদ গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে প্রায় ৩ কোটি টাকা মূল্যের হেরোইন সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছিল রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। সেই গ্রেপ্তারির সূত্র ধরেই সোমবার আরও একজন ব্যক্তিকে ওই চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। এবার গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার হল নগদ প্রায় ৩৮ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেল নাগাদ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে মুর্শিদাবাদের রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ তালাই বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে কুরবান শেখ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ধৃত ব্যক্তি পেশায় ই- রিক্সা চালক। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৩ কেজি ২০০ গ্রাম হেরোইন। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকার কাছাকাছি। এরপরেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও একজনের খোঁজ পায় পুলিশ।
এই বিষয়ে জঙ্গিপুর জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রায় বলেন, ‘ধৃত হেরোইন পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আমরা এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আরও এক ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছি। রবিবার রাতে রঘুনাথগঞ্জ শহরের ওমরপুরের কাছে একটি হোটেলে অভিযান চালিয়ে সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৪০০ টাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘কুরবান হেরোইন নিয়ে ধরা পড়ে যাওয়ার পর আমাদেরকে জানায় ওমরপুর মোড়ের কাছে একটি হোটেলে জনৈক নাজির হোসেন নামে লালগোলার এক বাসিন্দার কাছে ওই মাদক পৌঁছানোর কথা ছিল তার। এরপরই রঘুনাথগঞ্জ থানার একটি দল ওই হোটেলে পৌঁছে যায়। সেখান থেকেই নাজিরকে গ্রেপ্তার করে আমাদের পুলিশ। হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় সাজিয়ে রাখা নগদ টাকা। নিজের বৈধ পরিচয়পত্র ব্যবহার করে নাজির ওই হোটেল ঘরটি ‘বুক’ করেছিল বিশেষ কাজে থাকার জন্য।’
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে যে, লালগোলার বাসিন্দা এই নাজির হোসেন হেরোইন পাচার চক্রের এক বড় মাথা। সে ভিন রাজ্য এবং জেলা থেকে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে হেরোইন আমদানি করে মুর্শিদাবাদ এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকে। হেরোইন পাচারের এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িয়ে রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশ। ধৃত দুই ব্যক্তির পুলিশ হেপাজতের আবেদন করে সোমবার তাদের আদালতে পেশ করা হলে তাদের দশ দিনের পুলিশি হেপাজতের নির্দেশ দেয় জেলার বিশেষ আদালত।