অনুপ মণ্ডল, বুনিয়াদপুর: শ্মশানে শেষকৃত্যের পরিবর্তে পাড়ার ঢোকার মুখে রাস্তার ধারে এক বৃদ্ধকে সমাধি দিতে গেলে এলাকাবাসী আপত্তি তোলে। মৃতের পরিবার আপত্তি অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে এলাকার মানুষ থানার দ্বারস্থ হলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। শেষ পর্যন্ত সমাধি থেকে দেহ তুলে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। ঘটনাটি বুনিয়াদপুর (Buniadpur) পুর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের।
সোমবার দুপুরে শিরিশ মণ্ডল নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। তিনি ভেক নিয়েছিলেন বলে পরিবার দেহ সত্কার না করে বাড়ির পাশে খালি জায়গায় তাঁকে সমাধিস্থ করেন। এলাকার বাসিন্দাদের এতে তীব্র আপত্তি ছিল। এলাকাবাসীদের যুক্তি ছিল, রাতে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে সমস্যা হবে। আপত্তিতে আমল দেয়নি শিরিশ মণ্ডলের পরিবার। বাধ্য হয়ে এলাকার ১৪টি পরিবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে প্রশাসন হস্তক্ষেপ করে। প্রশাসন দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসে। সিদ্ধান্ত হয়, সমাধি থেকে দেহ তুলে শ্মশানে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে। শিরিশ মণ্ডলের পরিবার একবার তাঁর শেষকৃত্য করেছে। প্রথা অনুযায়ী তাঁরা দ্বিতীয়বার শেষকৃত্যের কাজ করতে পারে না। তাঁরা এলাকাবাসীর কাঁধে শিরিশ মণ্ডলের শেষকৃত্যের দায়িত্ব তুলে দেয়। এলাকার মানুষ অর্থসংগ্রহ করে বৃদ্ধের সত্কারের ব্যবস্থা করে। বংশীহারী শ্মশানে দেহটি দাহ করা হয়।
এলাকার বাসিন্দা পরিমল মণ্ডল বলেন, ‘রাস্তার ধারে শিরিশ মণ্ডলকে সমাধিস্থ করতে আমরা আপত্তি তুলেছিলাম। মৃতের পরিবার একপ্রকার গায়ের জোরে দেহ সমাধি দেয়। ওই দিন রাতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে রাতেই দেহ সমাধি থেকে তুলে বংশীহারী শ্মশানে দাহ করা হয়।’