সানি সরকার, শিলিগুড়ি: ফের প্রতিবেশী রাজ্যকে টেক্কা দেওয়ার চেষ্টা সিকিমের (Sikkim)। এরাজ্যে সরকারি পরিবহণ ব্যবস্থা নিয়ে যখন বিস্তর প্রশ্ন রয়েছে, তখন বাস (Bus) ভাড়ার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশনের পথে হাঁটতে চলেছে পাহাড়ি রাজ্যটি। বুকিং কাউন্টার থেকে বাস, সর্বত্রই নিষিদ্ধ হতে চলেছে নগদ লেনদেন। শুক্রবার এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করেছেন পরিবহণ সচিব রাজ যাদব। আগাম টিকিট বুক করা থেকে বাসে ওঠার পর টিকিট কাটা, সমস্তটাই যে এখন থেকে অনলাইনে হবে, স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। তবে কবে থেকে তা কার্যকর হবে, তা স্পষ্ট নয়। দ্রুত এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে বলে ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। তবে সরকারি এই সিদ্ধান্তে যে বিপাকে পড়তে হবে প্রচুর সাধারণ যাত্রীকে, তা সহজেই স্পষ্ট। কেননা, অনলাইন ব্যবস্থায় এখনও অভ্যস্ত নন অনেকে।
১০ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের যোগাযোগ ব্যবস্থা বেহাল। মূলত প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিমের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা। কিন্তু সিকিমের পরিবহণ ব্যবস্থাকে গতি দিতে তৎপর প্রেম সিং তামাংয়ের সরকার। ইতিমধ্যে সিকিমের পাশাপাশি সমতল শিলিগুড়িতে (Siliguri) ‘শেয়ার ক্যাব’ চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবহণ দপ্তর। আরও একধাপ এগিয়ে এবার সরকারি বাসে অনলাইন ব্যবস্থা কার্যকর করতে চাইছে সিকিম। পরিবহণ সচিবের নির্দেশিকা অনুসারে, এসএনটি’র গ্যাংটক এবং শিলিগুড়ি ডিপো সহ সমস্ত কাউন্টারে ইউপিআই পেমেন্টের ব্যবস্থা কার্যকর করা হচ্ছে। কিউআর কোড স্ক্যান করে টিকিটের দাম চোকাতে হবে। গ্যাংটক এবং শিলিগুড়ি ডিপোতে পিওএস মেশিন বসানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যাতে ক্রেডিট এবং ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারেন। বাসের টিকিট আগাম বুকিংয়ের জন্য অবশ্য নগদের পাশাপাশি অনলাইন পেমেন্টের ব্যবস্থা অনেকদিন থেকেই কার্যকর ছিল। কিন্তু এবার থেকে নগদ তুলে দেওয়া হচ্ছে।
সিকিমের এই নগদ প্রথা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তে অবশ্য বিপাকে পড়তে চলেছেন অনেকেই। কিছুটা কম ভাড়ার জন্য বেশি সময় লাগলেও সিংহভাগ যাত্রী এসএনটি’র বাসে শিলিগুড়ি থেকে সিকিমের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সমতলে ফিরে আসার ক্ষেত্রেও সরকারি বাস বেছে নেন তাঁরা। ফলে অনলাইন প্রথার জন্য অনেকেই সমস্যা এড়াতে বেসরকারি বাস বা ছোট গাড়ি বেছে নেবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এসএনটি’র শিলিগুড়ি ডিপোর এক আধিকারিক বলেন, ‘সমস্ত যন্ত্রপাতি চলে এসেছে। দ্রুত অনলাইন ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে। প্রথমদিকে কিছুটা যে সমস্যা দেখা দেবে, তা আমরাও বুঝতে পারছি।’