অসীম দত্ত, আলিপুরদুয়ার: সামনেই ইংরেজি নতুন বছর ও বড়দিন। বছরের এই দুই মেগা ইভেন্টেই পর্যটক হারাচ্ছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ (Buxa Tiger Reserve)। উত্তরবঙ্গজুড়ে যেখানে পর্যটকের ভিড় সামাল দিতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলছেন ব্যবসায়ীরা সেখানে বক্সায় যেন শ্মশানের নীরবতা। এদিকে, গ্রিন ট্রাইবিউনালের রায় বহাল থাকায় বক্সায় পর্যটকদের রাত্রিযাপন বন্ধের খবরে পর্যটকদের বুকিং বাতিলের হিড়িক পড়েছে।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের রিসর্ট, হোমস্টে বন্ধের উপর হাইকোর্টের স্টে অর্ডার উঠে যেতেই ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবিউনালের আগের রায় কার্যকর হওয়ায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে গোটা বক্সা টাইগার রিজার্ভের পর্যটন ব্যবসায়ী মহল।
আপাতত আগামী ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত বুকিং বাতিল থাকলেও অনিশ্চয়তা কাটছে না পর্যটন ব্যবসায়ী মহলের। আপাতত ২৩ ডিসেম্বরে হাইকোর্টের শুনানির দিকে তাকিয়ে থাকা ছাড়া উপায় নেই পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের। এই টাইগার রিজার্ভে সব মিলিয়ে ১৫০টির মতো হোটেল, রিসর্ট এবং হোমস্টে রয়েছে। পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন ১০ হাজারের বেশি মানুষ।
বক্সা টাইগার রিজার্ভের ডিএফডি ডঃ হরিকৃষ্ণন পিজের কথায়, ‘আমরা আদালতের নিয়ম মেনেই এগোচ্ছি। সেই মোতাবেক সমস্ত হোটেল, রিসর্ট, হোমস্টে মালিকদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই নোটিশ মানতে নারাজ বক্সার বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা। ব্যবসায়ীদের একাংশ দাবি করছে, তাঁদের যে নোটিশ ধরানো হয়েছে তা কোর্টের অবৈধ ঘোষণা।
আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট ট্যুরিজম আ্যসোসিয়েশনের (Alipurduar District Tourism Association) সম্পাদক মানব বক্সীর অভিযোগ, ‘হাইকোর্টে গ্রিন ট্রাইবিউনালের রায়ের শুনানি চলাকালীন হাইকোর্ট এমন কোনও লিখিত নির্দেশ দেয়নি যে, বক্সায় রিসর্ট বা হোমস্টেগুলিতে রাত্রিযাপন একেবারে বন্ধ রাখতে হবে। বক্সা টাইগার রিজার্ভ কর্তৃপক্ষ গাজোয়ারি করে এখানকার মানুষের জীবনযাত্রা নিয়ে খেলা শুরু করেছে। তবে আমরা আপাতত ২৩ তারিখের দিকে তাকিয়ে আছি।’
শুক্রবার বক্সা, জয়ন্তীতে বেড়াতে এসে পর্যটকদের নিরাশ হয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। তার ওপরে রাত্রিযাপন নিষিদ্ধ হওয়ার জেরে ২৩ ডিসেম্বরের পরেও নতুন করে বক্সার কোনও এলাকাতেই হোমস্টে বা রিসর্টে বুকিং করার সাহস পাচ্ছেন না পর্যটকরা। পরিবর্তে তাঁরা বেছে নিচ্ছেন লাটাগুড়ি, গরুমারা, ঝালং, বিন্দু, জলদাপাড়া, চিলাপাতার মতো পর্যটনকেন্দ্রগুলো।