উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ গণনা শুরু হতেই একেবারে তৃণমূলের জয়জয়কার। বাংলার ৬ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে সব ক’টি আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ৫ আসনে বিজেপি প্রার্থীরা দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও অন্য কথা বলছে একমাত্র হাড়োয়া সেখানে আবার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন বাম সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম গাজি। গণনা শেষে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী রবিউল ইসলাম। চতুর্দশ রাউন্ডের গণনা শেষে হাড়োয়ায় ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৮৮ ভোটে জয়ী তৃণমূল। তৃণমূলের রবিউল পেয়েছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭২টি ভোট। আইএসএফের পিয়ারুল পেয়েছেন ২৫ হাজার ৬৮৪ ভোট। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে উচ্ছ্বাস শাসক শিবিরে।
পার্থ ভৌমিক ব্যারাকপুরের সাংসদ হয়ে যাওয়ার পর নৈহাটি ছিল বিধায়কশূন্য। সেই আসনে উপনির্বাচনে পার্থকেও জয়ের ব্যবধানে টপকে গেলেন তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। নৈহাটি উপনির্বাচনের গণনা শেষ। দশম রাউন্ডের গণনা সম্পূর্ণ হওয়ার পর তৃণমূল প্রার্থী সনদ দে ৪৮,৮৭৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন। জয়ের পর সনৎ দে বলেন, “এই জয় নৈহাটির মানুষের জয়। এখন আরও দায়িত্ব বাড়ল। প্রথম কাজ হল, নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতালের উন্নয়ন করা।”
এই কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বললেন, এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অপপ্রচার যে মানুষ মানেনি, তার প্রতিফলন। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগেই বলেছিলাম, নৈহাটির মানুষ নিশ্চিত ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের উপর ভরসা রাখে। আমি নৈহাটির কর্মীদের বলেছিলাম, দিদিকে আমি কথা দিয়ে এসেছি, ন্যূনতম ৪০ হাজার ভোটে উপনির্বাচনে জিতবে তৃণমূল’।
মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী সুজয় হাজরা। ১৭ রাউন্ড গণনার শেষে তৃণমূল প্রার্থী জয়ী হয়েছেন ৩৩ হাজার ১৯০ ভোটে। পোস্টাল ব্যালট বাদে তৃণমূল পেয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৪৬ ভোট। বিজেপি পেয়েছে ৮০ হাজার ৯৫৬ ভোট।
তালডাংরায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী ফাল্গুনী সিংহবাবু। তিনি জয়ী হয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৫৬ ভোটে।
রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ভোটের ফলাফল ‘প্রত্যাশিত’ই হয়েছে। তবে মাদারিহাটে ‘লড়াই’ হবে বলে তিনি ভেবেছিলেন। লড়াই হয়নি। বিজেপি কার্যত ‘আত্মসমর্পণ’ই করেছে শাসক শিবিরের কাছে।