ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি! সিআইডিকে তুমুল ভর্ৎসনা আদালতের

কলকাতা: ভুয়ো নথি দিয়ে চাকরি মামলায় সিআইডির ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে সিআইডিকে তুলোধনা করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি বলেন, ‘কাজ না করলে তার ফল ভুগতে হবে।’ তদন্তে রাজ্য কাউকে আড়াল করতে চাইছে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারপতির মন্তব্য, ‘আপনাদের ওপর ভরসা রেখে তদন্তের ভার সিবিআইকে না দিয়ে সিআইডিকে দিয়েছিলাম। আপনারা কি আমার সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করতে চাইছেন?’

প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা হাইস্কুলে অনিমেষ তিওয়ারি নামে এক শিক্ষকের নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তাঁর বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। সেই স্কুলেরই ভুয়ো শিক্ষক ছেলে। সম্প্রতি এই নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তভার সিআইডিকে দিয়েছিল হাইকোর্ট। ওই মামলার তদন্তে নেমে রাজ্যজুড়ে প্রায় ৩৬ জন শিক্ষকের নাম পায় সিআইডি। যাঁদের মধ্যে ১৮ জন শিক্ষক ভুয়ো নথি ব্যবহার করে চাকরি পেয়েছেন। ১১ জন শিক্ষকের নিয়োগের নথি পাওয়া যায়নি। মূলত আদালত সব জেলার ডিআইদের কাছে নিয়োগ সংক্রান্ত হলফনামা তলব করে। সেই রিপোর্ট থেকে এই তথ্য উঠে আসে। তদন্তে উঠে আসে ৭ জন শিক্ষক মেধাতালিকায় স্থান পরিবর্তন করে চাকরি পেয়েছেন।

এই মামলায় বুধবারই বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন, বৃহস্পতিবার ডিআইজি সিআইডি সহ তদন্তকারী দলের সদস্যদের আদালতে উপস্থিত হতে। কিন্তু এদিন আদালতে হাজির ছিলেন না ডিআইজি সিআইডি। তদন্তকারী দলের সাতজনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চারজন। এনিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন বিচারপতি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ অগাস্ট। সেদিন সিআইডিকে হলফনামা দিতে বলেছে আদালত।