দিনহাটা: লোকসভার আগে রাজ্য রাজনীতি সন্দেশখালির পার্টি অফিসে পিঠে বানানোর ইস্যুতে তোলপাড় ছিল। ওই আবহে দিনহাটা-২ ব্লকের বুড়িরহাট-১ হাঁড়িভাঙ্গা গ্রামের বিজেপির এক বুথ সভাপতি সাহেবগঞ্জ থানায় অভিযোগ করেন, একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে রাতে পিঠে বানাতে পার্টি অফিসে যাওয়ার কথা বলেছিল। ওই অভিযোগকে ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস পর্যন্ত তাঁর বাড়িতে ছুটে যান। এ নিয়ে তিনি পুলিশকে দ্রুত তদন্তেরও নির্দেশ দেন। কিন্তু শুক্রবার সেই মহিলা কর্মীর স্বামী বাবলু বর্মন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহর হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়ে স্ত্রীর করা অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বাবলু বলেন, ‘সেটা পার্টির বিষয় ছিল। আমরা ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’ উদয়ন বলেন, ‘লোকসভার সময় বিজেপির জেলার নেতা-নেত্রীদের চক্রান্তে বুথ সভাপতি ওই মহিলা এধরনের কথা বলেছিলেন। ওই পরিবারের পিঠে খাওয়ানোর মতো আর্থিক পরিস্থিতি নেই। কিন্তু দলীয় চাপে তাঁরা তা বলতে বাধ্য হয়েছিলেন। আজ তাঁরা বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। বিজেপি এভাবেই চক্রান্ত করছে। কিন্তু কোনও লাভ হবে না।’
লোকসভা ভোটের ফল বেরোনোর পর ওই ঘটনা ক্রমশ থিতিয়ে পড়ে। লোকসভায় হারতেই ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে বিজেপি। শুক্রবার সেই মহিলার স্বামী তৃণমূলে যোগ দেন। বাবলু ছাড়াও বুড়িরহাট-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি নেতা সুশান্ত বর্মন ও কংগ্রেসের প্রাক্তন কাউন্সিলারও তৃণমূলে যোগ দেন। মন্ত্রী নিজেই তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। যদিও বিজেপি নেতা-কর্মীদের এই যোগদান প্রসঙ্গে বিজেপির কোচবিহার জেলা সভাপতি বিধায়ক সুকুমার রায় বলেন, ‘তৃণমূল ভয় দেখিয়ে অনেককে তাঁদের দলে যোগদান করাচ্ছে। তবে তাঁরা সকলেই বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।’