শীতলকুচি: চালু হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল শীতলকুচি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছানি অপারেশন। তারপর কেটে গিয়েছে দেড়টা বছর। এতদিন ধরে পরিষেবা বন্ধ থাকলেও সেটি পুনরায় চালু নিয়ে হেলদোল নেই স্বাস্থ্য দপ্তরের। এদিকে, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যাটেলাইট আই অপারেশন থিয়েটার বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছেন শীতলকুচি ব্লকের কয়েক হাজার বাসিন্দা। এখন ছানি অপারেশন করাতে বাইরের হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমই ভরসা।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘চোখের আলো’ প্রকল্পের মাধ্যমে শীতলকুচি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্যাটেলাইট আই অপারেশন থিয়েটার চালু করেন। সেবছরই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয় বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশন। প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে অপারেশন হত। প্রায় ৬০ জন বাসিন্দা বিনামূল্যে চোখের ছানি অপারেশনের সুবিধা পেয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
চোখের সমস্যা সংক্রান্ত রোগীদেরও ভিড় বাড়ছিল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। গ্রামীণ এলাকার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এই পরিষেবা মেলায় উপকৃত হয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তারপরই হঠাৎ করে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়।
ফলে এখন এলাকার কারও চোখের ছানি অপারেশন করতে বা অন্যান্য সমস্যার জন্য চিকিৎসক দেখাতে ছুটতে হচ্ছে মাথাভাঙ্গা, কোচবিহার, শিলিগুড়ি সহ দূরের এলাকাগুলিতে। এতে একদিকে গাঁটের কড়ি গুনতে হচ্ছে বেশি। কারণ পরিবহণ খরচ এবং সেখানে থাকার খরচ থাকছে। রোগী এবং রোগীর পরিজনদের ভোগান্তিও যে দ্বিগুণ হচ্ছে, সেটা বলাই বাহুল্য। তাই ফের পরিষেবা চালু করার দাবি তুলেছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা বিশাদু বর্মনের গলায় আক্ষেপের সুর। তিনি বলেন, ‘শীতলকুচি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চোখের অপারেশন হচ্ছিল দেখে আমরা অনেকটা স্বস্তিতে ছিলাম। কিন্তু আচমকা পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। এতে খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের। খুব তাড়াতাড়ি পরিষেবা চালু করা হোক।’
কিন্তু হঠাৎ চোখের ছানি অপারেশন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কেন? শীতলকুচির বিএমওএইচ ডাঃ শাম্ব অধিকারী বললেন, ‘চক্ষু বিশেষজ্ঞ না থাকায় আপাতত ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চোখের ছানি অপারেশন বন্ধ রয়েছে। নতুন কেউ নিয়োগ হলে আবার অপারেশন পরিষেবা চালু করা সম্ভব হবে। বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরের নজরে দেওয়া হয়েছে।’