উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ কুন্তলের চিঠিকাণ্ডে আদালতের নির্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শনিবারই জেরা করেছে সিবিআই। বুধবার জেলবন্দি কুন্তল ঘোষকে জেরা করল কেন্দ্রীয় এজেন্সির আধিকারিকরা। বুধবার দুপুর নাগাদ সিবিআই আধিকারিকরা যান প্রেসিডেন্সি জেলে। সেখানেই রয়েছেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। জানা গিয়েছে, অভিষেকের বক্তব্য আর কুন্তলের কথা মিলিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। যা এই তদন্তে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন অনেকে।
শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে গত ২৯ মার্চ তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ২০১৪ সাল থেকে বিজেপির চক্রান্তে তাঁকে টার্গেট করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তিনি দাবি করেছিলেন, সারদার সময়ে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষকে বলা হয়েছিল অভিষেকের নাম বলতে। তার পরের দিন অর্থাৎ ৩০ মার্চ কোর্টে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষকে। কাকতালীয়ভাবে সেদিন কুন্তল ঘোষ বলেন, তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি চাপ দিচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলার জন্য। পরবর্তীতে জেলবন্দি কুন্তল এই অভিযোগ নিয়েই চিঠি লেখেন নিম্ন আদালতের বিচারক ও হেস্টিংস থানাকে। চিঠিতে তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে।
কুন্তলের চিঠি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পৃথক এফআইআর করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। প্রথমে তাতে সাত দিনের স্থগিতাদেশ দিলেও তারপর সেই মামলা হাইকোর্টে ফিরিয়ে দেয় শীর্ষ আদালত। হাইকোর্টে মামলার বেঞ্চ বদল হয়। পাঠানো হয় বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। বিচারপতি অমৃতা সিনহাও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বহাল রাখার পাশাপাশি আদালতের সময় নষ্ট করার জন্য অভিষেক ও কুন্তল ঘোষকে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা করেন।
এদিকে শনিবারই অভিষেককে নোটিস পাঠিয়ে সিবিআই ডেকে পাঠায় নিজাম প্যালেসে। টানা ৯ ঘন্টা ৪০ মিনিট ধরে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এবার অভিষেকের বয়ানের ভিত্তিতে কুন্তলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে জেলে গেল সিবিআই।