নয়াদিল্লি: গত সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ বলেছিল দিল্লিতে রাজ্য সরকারই রাজ্য প্রশাসনের বিষয়ে শেষ কথা বলবে। অফিসারদের বদলি, পদোন্নতির ক্ষেত্রেও উপরাজ্যপালকে সরকারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। এবার তারই বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে অর্ডিন্যান্স এনে রাজধানীর যাবতীয় প্রশাসনিক ক্ষমতা উপরাজ্যপালের হাতে ন্যস্ত করল কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থাৎ, সুপ্রিম কোর্টের রায় খারিজে হয়ে গেল কেন্দ্রীয় সরকারের অর্ডিন্যান্সে।
অর্ডিন্যান্সে বলা হয়েছে, রাজ্য সরকারকে উপরাজ্যপালের আদেশ মেনে পদক্ষেপ করতে হবে। অর্থাৎ গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচনে জিতে আসা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে উপরাজ্যপালের কাছ থেকেই নিতে হবে আদেশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় আরও তীব্র হল আম আদমি পার্টি (আপ)-বিজেপি সংঘাত। কেন্দ্রের এমন পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে বিরোধী মহলে।
প্রসঙ্গত, রাজধানীতে রাজ্য সরকারের হাতে অনেক ক্ষমতাই নেই। এনিয়ে মোদি সরকারের সঙ্গে দশ বছর ধরে লড়াই চালাচ্ছে আপ সরকার। সেই লড়াই আরও তীব্র হয় বিকে সাক্সেনা উপরাজ্যপাল হয়ে আসার পর। আপ সরকারের একাধিক সিদ্ধান্তে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন উপরাজ্যপাল। গতকাল এরকম একটি মামলায় আপ সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়। জানা গিয়েছে, দিল্লির বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান পদে এক অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়োগের ফাইল ছয় মাস ধরে আটকে রেখেছেন উপরাজ্যপাল। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি গত সপ্তাহের রায়ের উল্লেখ করে বলেন, উপরাজ্যপালের কথায় সরকার চলবে না। সরকারের পরামর্শ মেনে চলতে হবে উপরাজ্যপালকে। কিন্তু শুক্রবার রাতে শীর্ষ আদালতের আগের রায় খারিজ করে অর্ডিন্যান্স জারি করল মোদি সরকার।