সৌম্যজ্যোতি মণ্ডল, চাঁচল: দুই মাস আগে মারধর করে স্ত্রীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় জুয়াড়ি। এবার দুই নাবালক সন্তানকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দিল। সুবিচারের আশায় সন্তানদের নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন স্ত্রী। ঘটনা চাঁচল থানার কৃষ্ণগঞ্জের। অভিযুক্তের নাম সামিদুল হক (৪০)।
১৬ বছর আগে সামিদুলের সঙ্গে বিয়ে হয় রবিনা বিবির। তাদের ১৫ বছরের একটি ছেলে এবং ১১ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার নেশা এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কারণে স্ত্রীকে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতেন। দুই সন্তানের জন্য সব অত্যাচার মুখ বুজে সহ্য করতেন রবিনা। স্বামী ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ দিতেন না। চাইতে গেলেই মারধর করতেন। বাধ্য হয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা থেকে সেই খরচ দিতেন রবিনা। দুই মাস আগে স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয় সামিদুল। দুই সন্তানকে রেখে দেয় নিজের কাছে। স্বামী বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর ওই এলাকাতেই বোনের বাড়িতে থাকতেন রবিনা। এদিন তাঁর সন্তানরা মায়ের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সন্তানদেরকেও মারধর করে বের করে দেয় গুণধর বাবা। তারপরেই দুই সন্তানকে নিয়ে চাঁচল থানায় এসে স্বামীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী।
রবিনা বলেন, ‘অত্যাচার অনেকদিন থেকে সহ্য করি। কিন্তু ছেলেমেয়েরা বড় হয়েছে। ওদের জন্য চুপ করে থাকতাম। জুয়ার নেশা এবং অন্য জায়গায় সম্পর্ক। দুই মাস আগে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। চুপচাপ ছেলেমেয়েদের টাকা দেওয়ার চেষ্টা করতাম। ছেলেমেয়েরা আমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে ওদেরকেও মারধর করে বের করে দেয়। পুলিশের দ্বারস্থ হলাম। আমার স্বামীর শাস্তি চাই। চাঁচল থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানান,‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।’