Saturday, December 9, 2023
HomeBreaking Newsঅনুজের ক্যামেরা নিয়ে চাঁদের দেশের পথে

অনুজের ক্যামেরা নিয়ে চাঁদের দেশের পথে

শুভজিৎ চৌধুরী, ইসলামপুর: চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টের মাধ্যমে ইতিহাস গড়েছে ভারত। শুক্রবার চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চন্দ্রযান। আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের পর ভারতই হবে বিশ্বের চতুর্থ দেশ, যাদের পাঠানো মহাকাশযান চাঁদের বুকে নামবে। আর ভারতের এই ইতিহাস গড়ার পেছনে হাত রয়েছে ইসলামপুরের ছেলে অনুজ নন্দীর। ভারতীয় রকেটের ‘বাহুবলী’ এলভিএম-৩ রকেট যা চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টে ব্যবহার হয়েছে, সেই রকেটে কাজ করেছেন ইসলামপুরের ছেলে অনুজ। জানা গিয়েছে, রকেটে ক্যামেরা লাগানোর টিমে ছিলেন তিনি।

অনুজের এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর পরিবারের পাশাপাশি সমগ্র ইসলামপুরবাসী। অনুজের বাড়ি ইসলামপুর পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আশ্রমপাড়া এলাকায়। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিক পর্যায়ে তিনি ইসলামপুরের আমবাগান কলোনি প্রাথমিক স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। এরপর ইসলামপুর হাইস্কুল থেকে দ্বাদশ শ্রেণি, রায়গঞ্জের একটি কলেজ থেকে স্নাতক এরপর কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে তিনি ইসরোতে বিজ্ঞানী হিসেবে গবেষণা করছেন। সেই সূত্রে তিনি বেঙ্গালুরুতেই থাকেন।

অনুজের কাজ দেখছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা

অনুজের এই সাফল্যের কথা আগে থেকে পরিবারের কেউই জানতেন না। চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টে কাজ করার বিষয় গতকালই তিনি বাড়িতে জানিয়েছেন। ফোন করে বয়স্ক মা এবং পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে আশীর্বাদও নিয়েছেন তিনি। গোটা দেশের সঙ্গে অনুজের পরিবারও বাড়িতে বসে ঘরের ছেলের কাজ করা চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টের সফল উৎক্ষেপণ দেখেছেন। অনুজের মা শোভা নন্দী বলেন, ‘আমি ছেলের জন্য গর্বিত। একমাস আগে অনুজ বাড়িতে এসেছিল। আমি প্রায় আট থেকে নয় বছর আগে বেঙ্গালুরুতে অনুজের কাছে গিয়েছিলাম। আজ ফোন করে আমার কাছে আশীর্বাদ নিয়েছে। আমার নাতি আমাকে মোবাইলে ওর কাজ করা রকেট ওড়া দেখিয়েছে।’ অনুজের ভাইপো অরিত্র নন্দী বলেন, ‘শুনতে পেয়েছি চন্দ্রযান-৩ প্রোজেক্টের ব্যবহৃত রকেটে জেঠুর কাজ করা ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। তাই জেঠুর এই সাফল্যে আমি খুবই খুশি। আমিও পড়াশোনা করে জেঠুর মতো হতে চাই।’ অনুজের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Sushmita Ghosh
Sushmita Ghoshhttps://uttarbangasambad.com/
Sushmita Ghosh is working as Sub Editor Since 2018. Presently she is attached with Uttarbanga Sambad Digital. She is involved in Copy Editing, Uploading in website and various social media platforms.
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments