চ্যাংরাবান্ধা: ২০২২ সালে চ্যাংরাবান্ধা (Changrabandha) ট্রাক ট্রার্মিনাস পরিবহণ দপ্তরের আওতায় চলে যাওয়ার পর থেকে কাজ হারিয়ে সমস্যায় পড়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা। কোনওরকমে দিন গুজরান করছেন তাঁরা। বর্তমানে বাইরের লোকেদের চ্যাংরাবান্ধা সুবিধা পোর্টাল ও পার্কিংয়ের কাজে নিযুক্ত করা হলেও তাঁদের কাজ দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, ২০২২ সালে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, স্থলবন্দরে যে পার্কিং রয়েছে সেটি পরিবহণ দপ্তরের আওতায় এনে সেখানকার যেসব স্টাফ রয়েছেন, তাঁদের চুক্তিভিত্তিকভাবে নেওয়া হবে। তবে দীর্ঘদিন কেটে গেলেও তাঁদের নিয়োগ করা হয়নি। এনিয়ে বৃহস্পতিবার টার্মিনাসের গেটে অনশনে বসেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, বারংবার লিখিতভাবে বিডিও থেকে ডিএম, রাজ্য পরিবহণ দপ্তর এমনকি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করা হলেও তাঁদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের নিয়োগ করা হয়েছে। কাজ না ফিরে পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি থাকবে বলে এদিন জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এদিন পরিবার-পরিজনদের নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন তাঁরা। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরাও আন্দোলনে শামিল হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ (Mekhliganj Police)। যান মেখলিগঞ্জের ওসি মনিভূষণ সরকার। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জয়েন্ট বিডিও অমিত সরকার। তিনি আন্দোলনকারীদের পুনরায় অভিযোগ লিখে জমা করার কথা বলেন। আন্দোলনকারীরা জানান, জয়েন্ট বিডিও’র আশ্বাস, মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশচন্দ্র অধিকারীর থেকে তাঁরা বার্তা পেয়েছেন। মেখলিগঞ্জে গিয়ে এসডিওর দপ্তরের সঙ্গে তাঁরা বৈঠকে বসবেন। আপাতত আন্দোলন স্থগিত রাখা হচ্ছে। এবিষয়ে জয়েন্ট বিডিও’র বক্তব্য, সমগ্র বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানাবেন তিনি।