উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কেন সমস্ত পরিষেবা দিচ্ছেন না জুনিয়ার ডাক্তাররা (Junior Doctors)? সোমবার আরজি কর মামলার (RG Kar Case) শুনানি চলাকালীন এমনই প্রশ্ন তুললেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় (Chief Justice D Y Chandrachud)। এদিন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি মনোজ মিশ্র, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালার বেঞ্চে শুনানি চলে। শুনানিতে অংশ নেন ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী।
সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসকের উপর হামলার অভিযোগের পর জুনিয়ার ডাক্তাররা ফের কর্মবিরতির হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। যদিও সাগর দত্ত কাণ্ডের যুক্তি শুনতে চাইল না শীর্ষ আদালত। বরং প্রধান বিচারপতি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, সরকারি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ডাক্তারদের বহির্বিভাগ ও অন্য ক্ষেত্রগুলি সহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতেই হবে। সেক্ষেত্রে সিনিয়ার-জুনিয়ার আলাদাও করেননি প্রধান বিচারপতি।
এদিন শুনানির সময় জুনিয়ার ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংকে প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘ডাক্তাররা কি কাজে যোগ দিয়েছেন?’ ইন্দিরা বলেন, ‘হ্যাঁ জুনিয়ার ডাক্তাররা সবাই জরুরি পরিষেবা দিচ্ছেন।’ এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আপনি আমার কথার উত্তর দিন। আমার কথা পরিষ্কার। ডাক্তাররা কি ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিয়েছেন?’ আইনজীবী ফের বলেন, ‘হ্যাঁ, সবই তো জরুরি পরিষেবার মধ্যে পড়ে। কিন্তু এই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে প্রধান বিচারপতি ফের বলেন, ‘আমি ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসের কথা বলছি।’ এরপরই প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ডাক্তারদের ওপিডি ও আইপিডি সার্ভিসে যোগ দিতেই হবে।
এদিন শুনানির সময় রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘ডাক্তাররা ঠিকমতো কাজে যোগ না দেওয়ায় হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে।’ এরপরই পালটা যুক্তি দেন জুনিয়ার ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং ও করুণা নন্দী। তাতে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘কে কত জোরে কতটা বলছেন, তার উপর তো নির্ভর করবে না। রাজ্যের কথা আদালত শুনবে।’ এরপরই সাগর দত্তের বিষয়টি তোলেন আইনজীবী করুণা নন্দী। কিন্তু প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ওটা বিভিন্ন হাসপাতালের দৈনন্দিন আইনশৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়। রাজ্য নিশ্চয়ই দেখবে। আদালতও নোট করে রাখল।’