উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গোটা বিশ্বকে চমকে দিয়ে চিন (China) সম্প্রতি ষষ্ঠ প্রজন্মের নতুন যুদ্ধবিমান (6th Generation Fighter Jet) প্রকাশ্যে এনেছে। চিনের আকাশে দেখতে পাওয়া দুটি ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমানকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান হল এমন একটি এয়ারক্রাফট, যা সমস্ত যুদ্ধবিমানের তুলনায় প্রযুক্তিগতভাবে অনেক উন্নত। লালফৌজের দেশের নতুন এই যুদ্ধবিমানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘জে-৩৬’ (J-36)।
ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির চেষ্টা বহুদিন থেকেই চালাচ্ছে আমেরিকা (US)। কিন্তু তাতে এখনও সাফল্য মেলেনি। এবার আমেরিকার আগেই তা বানিয়ে বাজিমাত করল চিন। যদিও এর আগে ‘জে-৩৫’ এবং ‘জে-৩৫এ’ নামের পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার জেট তৈরি করেছিল চিন। সে সময় অনেকেই বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি ‘এফ-৩৫’ বিমানটির নকল করে ‘জে-৩৫’ জেট বানিয়েছে চিন। কিন্তু এবার চিন ‘জে-৩৬’ তৈরির পর সকলেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন। কারণ আমেরিকার কাছে ষষ্ঠ প্রজন্মের কোনও যুদ্ধবিমান নেই। ফলে চিন এটিকেও নকল করে বানিয়েছে, তা মোটেই বলা যাবে না।
সূত্রের খবর, চিনের তৈরি ষষ্ঠ প্রজন্মের এই যুদ্ধবিমান সাধারণ ফাইটার জেটের তুলনায় অনেক দ্রুত গতিতে উড়তে সক্ষম। পঞ্চম প্রজন্মের বিমানগুলির তুলনায় হাতিয়ার বহনক্ষমতাও বেশি এটির। ‘জে-৩৬’-এ রয়েছে টার্বোফ্যান ইঞ্জিন। লেজের মতো অংশটি না থাকায় একে রাডার কোনওভাবেই চিহ্নিত করতে পারবে না।
এদিকে চিনের এই সাফল্যে আমেরিকার পাশাপাশি চিন্তা বেড়েছে ভারতেরও (India)। ভারতীয় বায়ুসেনা প্রধান এপি সিংয়ের কথায় তা কার্যত স্পষ্ট। কারণ বহুবছর ধরেই উন্নতমানের যুদ্ধবিমানের অভাবে ভুগছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তেজস ফাইটার জেট-এর বরাত দিয়ে ১৪ বছর ধরে অপেক্ষায় রয়েছে বাহিনী। এপি সিং জানান, প্রথম তেজস জেট উড়েছিল ২০০১ সালে। কিন্তু, বিমানবাহিনীতে আসে ১৫ বছর পর ২০১৬ সালে। এমনকি এখনও প্রথম লটের ৪০টি জেট বিমানই আসেনি বাহিনীতে। এদিকে চিন ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান বানিয়ে গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে, কিন্তু এখনও ভারত পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানও নাগালে পায়নি। তবে সম্প্রতি ফ্রান্সের কাছ থেকে ৪.৫ প্রজন্মের রাফাল জেট হাতে পেয়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে যদিও দেশীয় উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান তৈরির দিকেও নজর দিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রক।