উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েতে জোটের মিছিলে গুলি চালিয়ে বাম নেতাকে খুনকাণ্ডেও গ্রেপ্তার হয়েছিল চোপড়ার (Chopra) সেই তৃণমূল নেতা জেসিবি ওরফে তাজিমুল ইসলাম। চোপড়ায় যুগলকে নির্যাতনের (Couple Thrashed) ঘটনা নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই পঞ্চায়েতে গুলিকাণ্ডও প্রকাশ্যে চলে এল। উত্তর দিনাজপুরে কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মাসিরুদ্দিন দাবি করেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে চোপড়ায় জোটের মিছিলে গুলি চালিয়েছিল তাজিমুল। ওই সামনে দাঁড়িয়ে গুলি চালিয়েছিল। ঘটনায় এক সিপিএম নেতার মৃত্যু হয়েছিল। জখম হয়েছিলেন অনেকেই।’ গুলিকাণ্ডে যে তাজিমুল গ্রেপ্তার হয়েছিল, তা যদিও স্বীকার করে নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল।
পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত থাকার অভিযোগে সালিশি সভা ডেকে এক তরুণ ও তরুণীকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জেসিবি। জেসিবি চোপড়ার বেশ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা। তিনি বিধায়ক হামিদুর রহমানের ঘনিষ্ঠ। সূত্রের খবর, বিধায়ক ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের লক্ষ্মীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সর্বেসর্বা। মারধরের ঘটনায় রবিবার ইসলামপুর থানার পুলিশ (Islampur Police) জেসিবিকে নেতাকে গ্রেপ্তার (TMC Leader Arrested) করে। যদিও তালিবানি নৃশংসতার শামিল এই ঘটনাকে যথাসম্ভব লঘু করার চেষ্টা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান (Hamidul Rahman)। গতকাল তিনি বলেন, ‘নির্যাতিতা কোনও অভিযোগ করেননি। পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে নির্যাতিতা অন্যায় করেছিলেন। সমাজকে খারাপ করছিলেন। তাই সালিশি সভা বসিয়ে গ্রাম্য বিচার করা হয়েছিল। কিন্তু বিচারটা একটু বেশি হয়ে গিয়েছে। এটা নিয়ে আমরাও ওখানকার গ্রামবাসীকে বকাবকি করছি।’ আগামীদিনে যাতে এমনটা না হয়, তাও দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক।