কলকাতা: ১০০ দিনের কাজ নিয়ে বারবারই সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা জানালেন, এবার বাংলার সরকারের টাকাতেই যাতে ১০০ দিনের কাজ হয়, সেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। মমতা সেই স্কিমের নাম দিতে চান, ‘খেলা হবে।’ তিনি জানান, যতদিন পর্যন্ত কেন্দ্র টাকা না দেবে, ততদিন পর্যন্ত জব কার্ড হোল্ডারদের সেই কাজ দেওয়া হবে।
শুক্রবার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানান তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, ‘এখান থেকে বসে বলবে, বাংলাকে ভাতে মারো। বাংলাকে ভাতে মারা যাবে না, বাংলা অনেক শক্তিশালী’। ভোট সন্ত্রাসে মৃত্যু নিয়ে ২১-এর মঞ্চ থেকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন মমতা। মনোনয়ন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু সংখ্যা নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ২৯ জন মারা গিয়েছে, ১৮ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী- কে খুন করল?’। তাঁর দাবি, বিজেপি ঘটনা সাজিয়ে দিতে চাইছে। ভিডিও করে বাংলাকে অসম্মান করার চক্রান্ত করা হতে পারে বলেও দাবি করেন তিনি।
২৪-এর লোকসভা লড়াইয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে করা বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’ জোট নিয়ে তাঁর বক্তব্য, সব লড়াই জোটের ব্যানারে হবে। আমরা চাই দেশ থেকে বিজেপি বিদায় নিক। এদিন মণিপুর নিয়েও সরব হন তৃণমূল সুপ্রিমো। ভাষণের শুরুতেই ধিক্কার দিলেন বিজেপির বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও স্লোগানকে। বললেন, কোথায় গেল আপনাদের বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও স্লোগান? তিনি বলেন, ‘মহিলাদের ক্ষতি করলে, জেনে রাখুন, আগামী নির্বাচনে মহিলারাই আপনাদের ক্ষমতাচ্যুত করবে।’
পাশাপাশি, এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষিত রাজ্যে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে বদল আনেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপি নেতাদের ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে মমতা বলেন, ‘আমি বলব ব্লকে করতে। বুথ হিসেবে নয়। বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে করতে যাতে বাড়ির লোকের অসুবিধা না হয়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করা হয়।’ প্রসঙ্গত, এদিন ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে শহিদ সমাবেশ করা হয়েছে। এবারও সমাবেশে জনারণ্য ধর্মতলা চত্বর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসে এক হয়েছেন দলীয় নেতা, কর্মী, সমর্থকরা।