শিলিগুড়ি: মালদায় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা কাউন্সিলার দুলাল সরকার ওরফে বাবলা খুনের জের। এবার পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হল তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী পাপিয়া ঘোষকে। পাপিয়াকে গত মঙ্গলবার থেকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে। তবে দুজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও পাপিয়া একজনকেই নিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য,‘আমি এমনিতেই ভালো আছি। আমাকে কেউ মারবে না। দলের নেতাকর্মীদের মাঝে আমি ভালোই আছি।’ পুলিশের তরফে পাপিয়াকে জানানো হয়েছে যে, প্রয়োজনে আরও নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্তার বক্তব্য, ‘মালদার ঘটনার পর বিভিন্ন জেলায় বেশ কিছু নেতানেত্রীর নিরাপত্তা সংক্রান্ত কিছু নির্দেশিকা এসেছে। সেই মতোই এখানে পাপিয়া ঘোষকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বেশিরভাগ জেলাতেই শাসক দলের জেলা সভাপতি আগে থেকেই নিরাপত্তারক্ষী নিয়েছেন। উত্তরবঙ্গেও বিভিন্ন জেলায় জেলা সভাপতি অথবা সভানেত্রীর সঙ্গে পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলায় জেলায় শাসক দলের প্রচুর নেতানেত্রী, পুরসভার কাউন্সিলার থেকে পঞ্চায়েত প্রতিনিধিদের পুলিশি নিরাপত্তা রয়েছে। কিন্তু দলের দার্জিলিং জেলা সভানেত্রী পাপিয়া প্রথম থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করে এসেছেন। তবে, মালদায় তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার খুন হওয়ার পর থেকেই পুলিশের তরফে নিরাপত্তারক্ষী নেওয়ার জন্য বার বার বলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পাপিয়া। তিনি এদিন বলেন, ‘জেলা সভানেত্রী হওয়ার পরপরই আমাকে তৎকালীন পুলিশ কমিশনার দুজন সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষী নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি নিরাপত্তা নিতে অস্বীকার করায় পরবর্তীতে মহিলা পুলিশ অফিসারই দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমি কোনওদিনই পুলিশি নিরাপত্তা নিতে রাজি হইনি। এবার পুলিশের তরফে বলা হয়েছে যে, উপর থেকে নির্দেশ রয়েছে, দু’জন পুলিশকে নিরাপত্তায় নিতে হবে। আমি দুদিন একজন নিরাপত্তারক্ষী নিয়েছিলাম। কিন্তু এটাও আমার সঙ্গে না থাকলেই ভালো হয়।’