উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্কঃ ‘আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক শহর’ তথা মানব ঐক্যের শহর অরোভিল(Auroville)। পদুচেরিতে শ্রীঅরবিন্দ আশ্রমের অদূরে অবস্থিত এই সমুদ্র সৈকতবর্তী এলাকা যেখানে সকল দেশের নারী পুরুষ জাতি, ধর্ম, রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে শান্তিতে এবং প্রগতিশীলভাবে একত্রে বসবাস করতে পারে বলেই তাঁদের দাবি! এহেন অ্যারোভিল ফাউন্ডেশনের টাউনশিপের ভেতরে চলা উন্নয়ন সংক্রান্ত নির্মানকাজে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল(NGT)। সোমবার ট্রাইব্যুনালের সেই নির্দেশ খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০২২ সালের এপ্রিলে এনজিটি-র জারি করা ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে এদিন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এবং বিচারপতি প্রসন্ন বি ভারালের বেঞ্চ জানায়, পরিচ্ছন পরিবেশের অধিকারের মতোই উন্নয়নের অধিকারকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া উচিত, এটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। ট্রাইব্যুনাল এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছিল বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। বিচারপতি ত্রিবেদী এমন মজবুত উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেন যা কিনা উন্নয়নের অধিকার এবং একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশের অধিকারের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করবে।
প্রসঙ্গত, উন্নয়নের আছিলায় অরোভিল ফাউন্ডেশন ওই এলাকায় প্রচুর গাছ কাটছে এই অভিযোগ তুলে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল-এর দারস্থ হয়েছিলেন নভরোজ কাশ্যপ মোদি নামের এক ব্যাক্তি। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই এলাকাটি একটি জঙ্গল এলাকা যেখানে টাউনশিপের উন্নয়নমূলক কাজের দরুন সবুজ গাছপালা ধ্বংস হচ্ছে। এরপরেই ট্রাইব্যুনাল ওই স্থগিতাদেশটি জারি করে। এরপরেই মামলাটি গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে যেখানে এদিন ওই নির্দেশকে খারিজ করে এবং পরিবেশের ভারসাম্যের কথা মাথায় রেখে উন্নয়নের পক্ষে রায় দিল শীর্ষ আদালত।
অরোভিল কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, এটি একটি আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক শহর হিসাবে গড়ে উঠছে তাই এটিকে শুধু বনাঞ্চল হিসাবে গন্য করা যাবে না। তাঁদের দাবি, ‘এই শহর সবার জন্য, যেখানে সকল দেশের নারী পুরুষ জাতি, ধর্ম, রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে শান্তিতে এবং প্রগতিশীলভাবে একত্রে বসবাস করতে পারে।’ উল্লেখ্য, মানব ঐক্য স্থাপন এবং উপলব্ধি করাই অরোভিলের অন্যতম লক্ষ্য বলেই তাঁদের দাবি।