উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশের বারাণসীর (Varanasi) বড় গণেশ মন্দির এবং পুরুষোত্তম মন্দির থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সাই বাবার মূর্তি (Sai Baba Idols)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। সম্প্রতি হিন্দু জাতীয়তাবাদী দলগুলি মন্দিরে সাই বাবার মূর্তির বিরোধিতা করেছিল। দলগুলি দাবি জানিয়েছিল, হিন্দু দেবতাদের জন্য তৈরি মন্দির সাই বাবার মূর্তি রাখার জন্য নয়। যদিও শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে পড়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ সাই বাবার মূর্তি সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়। এরপরই ধর্মীয় রীতিনীতি এবং হিন্দু মন্দিরে সাই বাবার স্থান নিয়ে বিতর্ক বাঁধে। যদিও সাই বাবার মূর্তি ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়।
জানা গিয়েছে, বারাণসীর বড় গণেশ মন্দির থেকে সাই বাবার মূর্তি সরানো হয়েছে সনাতন রক্ষক দলের (Sanatan Rakshak Dal) প্রচারের অংশ হিসেবে। সনাতন ধর্মের পবিত্র শহরে সাই বাবার পূজা অনুপযুক্ত, এই দাবি জানিয়েই রবিবার রাতে ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা মূর্তিটি সরিয়ে ফেলে। এপ্রসঙ্গে সনাতন রক্ষক দলের সভাপতি অজয় শর্মা বলেন, ‘কাশীর মন্দিরগুলিতে সাই বাবার মূর্তি রাখার কোনও কারণ নেই।’ এদিকে সোমবারও লোহাতিয়ার বড় গণেশ মন্দিরে সনাতন রক্ষক দলের সদস্যরা ফের একত্রিত হয়। এরপরই সকলে মিলে পাঁচ ফুটের একটি সাই মূর্তি কাপড়ে মুড়ে মন্দির চত্বর থেকে সরিয়ে প্রাঙ্গণের বাইরে রেখে আসে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৪ সালে সাই বাবার উপাসনা সম্পর্কে দ্বারকাপীঠের শংকরাচার্যের করা মন্তব্য থেকে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। যদিও সেই সময়ে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছিল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। সাই বাবাকে নিয়ে করা এই বিতর্কিত মন্তব্যের পরই বেশ কয়েকটি মন্দির থেকে শঙ্করাচার্যের মূর্তিও সরিয়ে দেওয়া হয়। চলতি বছর জুন মাসে সরকার পরিচালিত হিন্দু মন্দির থেকে সাই বাবার মূর্তি সরানোর বিষয়ে তামিলনাডুর হিন্দু ধর্মীয় ও চ্যারিটেবল এনডাউমেন্টস বিভাগে একটি নোটিশ জারি করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। কোয়েম্বাটোরের এক বাসিন্দা এই আবেদনটি দায়ের করে যুক্তি দিয়েছিলেন যে, আদালতের অতীতের রায় এই ধারণাটিকে সমর্থন করে যে সাই বাবার অনুগামীরা শুধু হিন্দু ধর্ম নয়, বিভিন্ন ধর্ম থেকে এসেছেন।