কোচবিহার: ধর্ষণের ঘটনার সাত মাসের মধ্যেই অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা শোনাল কোচবিহার আদালত। বুধবার অপরাধীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন কোচবিহার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট) রুদ্রপ্রসাদ রায়। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার মাধ্যমে কোচবিহার জেলায় প্রথমবার এই সাজা ঘোষণা করা হল বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য্য।
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কোচবিহার-১ ব্লকের পাটছড়া গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় নলধোন্দরা গ্রামের এক মহিলা বাড়িতে স্নান করছিলেন। তাঁর স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে ছিলেন। সেই সময় মহিলার প্রতিবেশী হরিশ্চন্দ্র বর্মন বাড়িতে ঢুকে ওই মহিলার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। মহিলার চিৎকারে এলাকার বাসিন্দারা ঘটনাস্থলে আসতেই অপরাধী পালিয়ে যায়। এরপর কোচবিহার সদর মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তদন্তকারী অফিসার মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর পেমালা শেরপা তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন। নির্দিষ্ট ধারায় চার্জশিট তৈরি করে দ্রুততার সঙ্গে তা জমা করা হয়। এরপর কোচবিহার আদালতে মামলা চলার পর বুধবার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক দোষী সাব্যস্ত করেন হরিশ্চন্দ্রকে। এদিন বিচারক রুদ্রপ্রসাদ রায় অপরাধীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানার সাজা দেন। অনাদায়ে আরও একবছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।