উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম বন্দে ভারতের ট্রায়াল রান হল রবিবার। এটি বাংলার তৃতীয় বন্দে ভারত যা এনজেপি থেকে গুয়াহাটি চলাচল করবে। এদিন এই ট্রায়াল রানের পর দাবি উঠল, বন্দে ভারতকে কোচবিহারেও স্টপেজ দিতে হবে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হয়েছেন কোচবিহারবাসী। ইতিমধ্যেই কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতীম রায়ও এনিয়ে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গেই তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধেও সরব হয়েছেন।
পার্থপ্রতীম রায় তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘নিউ জলপাইগুড়ি- গুয়াহাটি বন্দে ভারত রেলের সময় সারণী আর স্টপেজ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি রেলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা কোচবিহারের মানুষ প্রত্যাশা করেছিলাম নিউ কোচবিহার স্টেশনে বন্দে ভারতের স্টপেজ হবে। আর এই আশা জাগিয়েছিল কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। বিভিন্ন সময় বক্তৃতা করে বলেছিল নিউ কোচবিহারে স্টপেজ হবে। কথা ও কাজের মধ্যে যে মিল নেই এটাতে আরেকবার স্পষ্ট হল। শুধুই ভাওতাবাজি আর বাতেলাবাজি। এই ঘটনা থেকে দুটো বিষয় স্পষ্ট হয় কোচবিহারের হয়ে তিনি মন্ত্রকে কোনো সওয়াল করতে ব্যর্থ অথবা তার কথার কোনো গুরুত্ব নেই। ঘটনা যাই হোক ভাওতাবাজি ছেড়ে নিউ কোচবিহারে আমরা বন্দেভারতের স্টপেজ চাই চাই-ই। কথায় কথায় উত্তরবঙ্গ -কোচবিহার বঞ্চিত বলে যারা চিৎকার করে এবার তারাও একটু মুখ খুলুন আর এদের ইন্ধনকারী বিজেপির সাংসাদ-বিধায়করা এবার একটু কিছু বলুন। কেন কোচবিহার বঞ্চিত হল রেলমন্ত্রকের পক্ষ থেকে। আর সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকেরও জবাব চাই।‘
উল্লেখ্য, রেলের বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যাচ্ছে, এই ট্রেনটি সপ্তাহে ৬ দিন চলবে। এটি নিউ জলপাইগুড়ি ছাড়ার পরে নিউ আলিপুরদুয়ার, কোকরাঝাড়, নিউ বঙ্গাইগাঁও, কামাখ্য়া ও তারপর শেষ স্টেশন গুয়াহাটিতে থামবে। সময় লাগবে ৫ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। কোচবিহারবাসীর দাবি, নিউ কোচবিহার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। যারা কোচবিহার গুয়াহাটি সবসময় যাতায়াত করেন তাঁরা উপকৃত হবেন। এছাড়া কোচবিহারে অনেক দর্শনীয় স্থানও রয়েছে। সুতরাং পর্যটনের ক্ষেত্রেও কোচবিহারের ভূমিকা রয়েছে।