ঘোকসাডাঙ্গা: ফের বুনো শুয়োরের হানায় মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের! কোচবিহারের (Cooch Behar) ঘোকসাডাঙ্গা (Ghoksadanga)-র ভেলাকোপার ঘটনা। মৃতের নাম, কাশীকান্ত বর্মন (৬৬)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোরু খুঁজতে বেরিয়েছিলেন কাশীকান্তবাবু। এরপর থেকে তাঁর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিন তাঁর মেয়ে অনীমা বর্মন এলাকায় দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। দেহ দেখে অনুমান করা হচ্ছে, বুনো শুয়োরের হামলায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বন দপ্তর, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।
এবিষয়ে মাথাভাঙ্গার রেঞ্জ অফিসার সুদীপ দাস জানান, নিয়মিত টহল ও সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। সরকারি নিয়ম মেনে আবেদন করলে সাহায্য করা হবে। এলাকায় টহল চলছে। বন্যপ্রাণীদের ফেরাতে তৎপর বন দপ্তর।
অন্যদিকে, গতকাল গোরুর ঘাস কাটতে গিয়ে ঘোকসাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের খোপাডুলির তেঁতুলেরছড়া গ্রামে একইভাবে বন্য শুয়োরের হামলায় মৃত্যু হয় এক ব্যক্তির। মৃতের নাম ধীরেন বর্মন (৪৯)। গতকাল বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে তেঁতুলেরছড়া এলাকায় ঘাস কাটতে গিয়েছিলেন তিনি। সেইসময় আচমকা একটি বন্য শুয়োর এসে পেছন থেকে তাঁকে আক্রমণ করে। পাশেই কাজ করছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা দুধেশ্বর বর্মন। বিষয়টি লক্ষ্য করে তিনি এগিয়ে আসেন। তিনি দৌড়ে এলে বুনোটি পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহায়তায় দ্রুত ধীরেনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঘোকসাডাঙ্গা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার খবর পেয়ে ধীরেন বর্মনের বাড়িতে যান মাথাভাঙ্গার এসডিপিও সমরেণ হালদার, ওসি, বনকর্তা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন সহ তৃণমূল নেতারা। গতকালের পর এদিন ফের এমন ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।
অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টির জেরে তোর্ষা নদীতে গত কয়েকদিনে ব্যাপক জলস্ফীতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। নদীর জলে ভেসে বহু বন্যপ্রাণী লোকালয়ে চলে এসেছে। গতকাল খোপাডুলিতে তোর্ষার চর থেকে একটি সম্বর প্রজাতির পূর্ণবয়স্ক হরিণ উদ্ধার করে বন দপ্তর। আবার মাথাভাঙ্গা-২ ব্লকের ভেলাকোপায় একটি কচ্ছপ উদ্ধার হয়েছে। গন্ডার, হরিণ, অজগর সহ নানা প্রাণীর লোকালয়ে আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় পুলিশ ও বন দপ্তরের তরফে মাইকিং করে বাসিন্দাদের সচেতন করা হচ্ছে।

