শিলিগুড়িঃ শিলিগুড়ি শহর ও মহকুমা পরিষদ এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে পথে নামল সিপিআই। মঙ্গলবার দলের দার্জিলিং জেলা পরিষদের সদস্যরা একাধিক সরকারি দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিতে যায়। এছাড়া বিক্ষোভেও শামিল হন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। পরবর্তিতে সরকারি দপ্তরগুলির কাজে বিরক্তি প্রকাশ করেন দলের নেতারা।
এদিন দুপুরে প্রথমে মহকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার অফিসে স্মারকলিপি জমা দিতে যায় দলের কর্মীরা। এরপর দপ্তরের বাইরে একটি সভা করা হয়। জেলা সম্পাদক অনিমেষ বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘বহু মানুষ দীর্ঘদিন থেকে বসবাস করেও জমির পাট্টা পায়নি, তাঁদের পাট্টা প্রদান করতে হবে।’ দলের সহ সম্পাদক পার্থ মৈত্রর বক্তব্য, ‘শিলিগুড়ি শহর ও মহকুমার গ্রামীন এলাকা জমি মাফিয়াতে ভরে গিয়েছে। মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে। ঘটনায় বার বার তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের নাম উঠে আসছে।’ সেই কারণেই কী প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ।
সেখান থেকে মিছিল করে শিলিগুড়ি টাউন রেল স্টেশনে পৌঁছান দলের কর্মী-সমর্থকরা। বিভিন্ন দাবিতে স্মরকলিপি জমা দেওয়ার জন্য স্টেশন ম্যানেজারের ঘরে যান তাঁরা। কিন্তু সেই সময় স্টেশন ম্যানেজার উপস্থিত ছিলেন না। অন্য রেল কর্মীরাও স্মারকলিপি জমা নিতে অস্বীকার করলে সিপিআই কর্মীরা রেল কর্মীদের সামনেই অষন্তোষ প্রকাশ করতে থাকেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই বাইরে বেরিয়ে আসেন সিপিআই নেতা-কর্মীরা। এরপর বাইরে দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন তাঁরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সময় স্মারকলিপি গ্রহন করার মতো কোনও আধিকারিক স্টেশনে উপস্থিত না থাকায় সেটি গ্রহন করা সম্ভব হয়নি। দলের নেতা সুব্রত রক্ষিত ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ করেন। তাঁর মন্তব্য, ‘দীর্ঘদিন থেকে পুরনিগমের ১৮-২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাগরাকোট এলাকায় উড়ালপুলের দাবি রয়েছে। মানুষের পথ চলতে অসুবিধে হচ্ছে। এছাড়াও বহু ক্ষেত্রে রেল সঠিক পরিষেবা দিতে পারছে না। এসব বিষয় জানাতে আমরা স্মারপকলিপি দিতে এসেছিলাম। অথচ আশ্চর্য়ের বিষয় একটি সরকারি অফিসে লিখিত জমা নেওয়ার লোক নেই।’ দলের তরফে ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে।