শুভদীপ শর্মা, লাটাগুড়ি: উদ্বোধনের আগেই এসজেডিএ (শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি)-র ১২ কোটির মার্কেট কমপ্লেক্সে ফাটল ধরেছে। এদিকে, তৈরির অনেকদিন বাদেও দোকানঘর বণ্টন না হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তারমধ্যে মার্কেট কমপ্লেক্সের ছাদ ও দেওয়ালে ফাটল ধরায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। দ্রুত ওই ফাটল মেরামত করে ব্যবসায়ীরা দোকানঘর বণ্টনের দাবি জানিয়েছেন। যদিও কয়েক সপ্তাহ আগে এসজেডিএ’র তরফে মার্কেট কমপ্লেক্সটি জেলা পরিষদকে হস্তান্তর করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাধিপতি কৃষ্ণা রায় বর্মন বলেন, ‘মার্কেট কমপ্লেক্সটির ফাটল ও বেশ কয়েকটি অর্ধসমাপ্ত কাজ শেষ করে শীঘ্রই ব্যবসায়ীদের দোকানঘর বণ্টন করা হবে।’
লাটাগুড়ি বাজারে (Lataguri) ২০২০ সালে এসজেডিএ’র তরফে এই নিউ জেনারেশন হাট ও মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ শুরু হয়। কয়েক বছর ধরে কাজ চলে। বর্তমানে এই মার্কেট কমপ্লেক্সের নির্মাণকাজ শেষ। অভিযোগ, কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য জায়গা ছেড়ে দেওয়া ব্যবসায়ীরা বারবার আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দোকানঘর পাননি। এরমধ্যে মার্কেট কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দেওয়ালে এমনিক সঙ্গে থাকা হাটশেডের ছাদ ফেটে জল পড়া শুরু হয়েছে। এছাড়া কমপ্লেক্সের স্টিলের রেলিং ভেঙে গিয়েছে। যার জেরে নির্মাণকাজের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। লাটাগুড়ি দোকান ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মানিক সরকারের কথায়, ‘মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির সময় প্রায় ১০০ জন দোকানদার জায়গা ছেড়ে দিয়েছিলেন। মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরি হলেও তাঁরা ঘর না পাওয়ায় ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়েছেন। পাশাপাশি মার্কেট কমপ্লেক্সটির নির্মাণকাজ নিম্নমানের হয়েছে। সেজন্য চালু হওয়ার আগে ছাদ চুইয়ে জল পড়ছে এবং দেওয়ালে ফাটলের মতো সমস্যা দেখা দিয়েছে।’
স্থানীয় সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে লাটাগুড়ির বাজারের ব্যবসায়ীরা একটি কমিটি গঠন করেছেন। প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে দ্রুত এই দোকানঘরগুলি পেতে তাঁদের এই উদ্যোগ। এই কমিটির অন্যতম সদস্য ও লাটাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান জগবন্ধু সেনের বক্তব্য, ‘এতদিন এসজেডিএ জেলা পরিষদকে মার্কেট কমপ্লেক্সটি হস্তান্তর না করায় দোকানঘরগুলি ব্যবসায়ীরা পাচ্ছিল না। ক’দিন আগে জেলা পরিষদ এই মার্কেট কমপ্লেক্সটির হ্যান্ডওভার নিয়েছে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতিমধ্যে এবিষয়ে কথা হয়েছে। আশা করি তাড়াতাড়ি এই দোকানঘরগুলি ব্যবসায়ীদের দেওয়া হবে।’