নয়াদিল্লি: বিরাট কোহলির ব্যর্থতায় অতীতে বারবার তাঁকে দায়ী করা হয়েছে। ট্র্যাডিশন আজও জারি। কোহলির চলতি ব্যাডপ্যাচ নিয়ে সমালোচকদের টার্গেট হয়েছেন স্ত্রী অনুষ্কা শর্মাও। এদিন যা নিয়ে সমালোচকদের পালটা দিয়েছেন নভজ্যোৎ সিং সিধু।
বিরাটের পাশে দাঁড়িয়ে সিধু বলেছেন, ‘কেউ মাস দুয়েক খারাপ ফর্মে থাকা মানে, তাঁকে বাতিল করে দেওয়া নয়। তাঁকে তরতাজা হয়ে ফেরার সুযোগ দিতে হবে। মার্ক টেলর একসময় বছর দেড়েক ফর্মে ছিল না। সেখান থেকেই দারুণভাবে ফিরে এসেছিল। মহম্মদ আজহারউদ্দিন ব্যর্থ হয়েছিল লম্বা সময় ধরে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ও বলেছিল, ও টানা ৮ ইনিংসে রান পায়নি। কিন্তু একটা ভালো স্কোরে ছন্দ ফিরে পেয়েছিল। বিরাটকে নিয়েও আমি আশাবাদী।’
এরপরই অনুষ্কার প্রসঙ্গ টেনে প্রাক্তন ওপেনারের দাবি, ‘এটাই প্রথমবার নয়, বিরাটের সমালোচনা হচ্ছে। এমনকি সমালোচকরা বিরাটের স্ত্রীকেও রেহাই দেয়নি। বিতর্কে টেনে এনেছে। এটা ভুল। আমাদের নায়কদের সম্মান প্রাপ্য। সেটা সবার করা উচিত। বোঝা উচিত, প্রত্যেককেই খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। একটু ধৈর্য দেখাতে হবে।’
ভারতীয় দলের অজি সফরের ব্যর্থতায় গেল গেল রব তোলারও পক্ষপাতী নন। সিধুর যুক্তি, মাস ছয়েক আগেই ভারত টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছে। তবে লাল বলের ফর্ম্যাটে গত কয়েক সিরিজে কোনও ব্যাটারই ধারাবাহিক নয়। তাই দুই-একজনকে টার্গেট করে বাকিদের নিয়ে চুপ থাকা সঠিক নয়।
বিরাট-রোহিত শর্মার প্রতি সিধুর পরামর্শ, ‘৮০টি আন্তর্জাতিক শতরান, দশ হাজারের কাছাকাছি যে রান করেছে, তাকে কিছু বলার প্রয়োজন নেই। বাড়ি ফিরে নিজের ব্যাটিংয়ের ভিডিওগুলি দেখুক, তাহলেই বুঝে যাবে শরীর থেকে দূরে ব্যাট নিয়ে গিয়ে খেলছে। সমাধানের রাস্তা নিজেই করে নিতে পারবে। রোহিতের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। দুজনের টেকনিক দুর্দান্ত। রোহিতকে ফিটনেস নিয়ে খাটতে হবে শুধু। টি২০ বিশ্বকাপে ও কিন্তু মিচেল স্টার্ককে তিন ছক্কা মেরে ভারতের জয়ের রাস্তা তৈরি করে দিয়েছিল। সবাই কি তা ভুলে গিয়েছেন? বোঝা উচিত, রোহিতরাও মানুষ।’