উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার জোর যে কত, তা প্রমাণ হল আরও একবার। বিরল রোগে আক্রান্ত ২২ মাসের শিশুকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন অভিনেতা, ভারতীয় ক্রিকেটার থেকে সবজি বিক্রেতা। নিজেরাই টাকা তুলে জমালেন কোটি কোটি টাকা (Crowdfunding Helps Toddler)।
রাজস্থান পুলিশের সাব ইনস্পেক্টর নরেশ শর্মা। তাঁর একমাত্র সন্তান হৃদয়াংশ বিরল জেনেটিক ডিসঅর্ডার, স্পাইনাল মাসকিউলার অ্যাট্রোফিতে আক্রান্ত। এই বিরল রোগের জেরে কোমরের নীচ থেকে শরীর অসাড় হয়ে গিয়েছে শিশুর। হাজারো চিকিৎসকের কাছে ঘুরে, নানা প্রচেষ্টার পর জানা যায়, হৃদয়াংশর একটি বিশেষ জিন থেরাপি ইঞ্জেকশনের প্রয়োজন, যা একবারই দেওয়া যায়। জোলগেনস্মা নামক ওই ইঞ্জেকশনের দাম ১৭.৫ কোটি টাকা। এই ইঞ্জেকশন আবার শিশুকে ২ বছরের মধ্যেই দিতে হবে। ছেলেকে কীভাবে বাঁচাবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না তার বাবা-মা। ছেলের চিকিৎসার আশা যখন প্রায় ছেড়েই দিয়েছেন, সেই সময় গত ফেব্রুয়ারি মাসে রাজস্থান পুলিশের তরফে ক্রাউন্ডফান্ডিং শুরু করা হয়। হৃদয়াংশের বয়স তখন ২০ মাস।
সোশ্যাল মিডিয়ায় হৃদয়াংশের বিষয়টি জানতে পারেন অভিনেতা সোনু সুদ (Sonu Sood) ও ক্রিকেটার দীপক চাহার (Deepak Chahar)। তাঁরাও নিজেদের সোশ্যাল হ্যান্ডেল থেকে ক্রাউডফান্ডিংয়ের পোস্ট করেন। সেই পোস্টের দৌলতেই হৃদয়াংশকে সুস্থ করে তুলতে সবজি বিক্রেতা থেকে শুরু করে দোকানি, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত-সকলে আর্থিক অনুদান দেন। বিভিন্ন এনজিও এবং প্রতিষ্ঠানও অর্থ সংগ্রহ করতে শুরু করে। তিন মাসেরও কম সময়ের মধ্যে জোগাড় হয় ৯ কোটি টাকা। অবশেষে জয়পুরের হাসপাতালে ওই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয় হৃদয়াংশকে। ইঞ্জেকশনের বাকি দাম আগামী এক বছরে তিন কিস্তিতে মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।