সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: দণ্ডিকাণ্ডে নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীর পুত্রবধূ প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর। যদিও আদালত তাঁকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে। তবে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ, জেলা মহিলা মোর্চার সভাপতির পদ হারাতে হয়েছে তাঁকে। তিনি আদৌ দলে আছেন কি না, তা নিয়েও বিতর্ক কম নেই। কিন্তু এত কিছুর পরেও হেরে যাওয়ার পাত্রী নন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। নিজের ওয়ার্ডের (২২ নম্বর) বাসিন্দাদের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। প্রতিদিনই নিত্যনতুন কর্মসূচি গ্রহণ করছেন। কখনও ভ্রাম্যমাণ গ্রন্থাগার চালু করছেন, কখনও অক্ষরজ্ঞানহীনদের স্বাক্ষর করে তোলার চেষ্টা করছেন। বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন ওই ওয়ার্ডের বিশেষভাবে সক্ষমদের পাশে দাঁড়ালেন প্রদীপ্তা। তুলে দিলেন নতুন পোশাক। তাদের নিয়েই ঐতিহ্যময়ী বুড়া কালীমাতা মন্দিরে পুজো দিয়ে দিন শুরু করেন। পরে ওয়ার্ডের প্রতিটি বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোগও বিলি করেন।
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীর পুত্রবধূ হিসেবে রাজনীতিতে আসা প্রদীপ্তা চক্রবর্তী প্রথম থেকেই নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা, সেই ওয়ার্ড থেকেই পুরভোটে তৃণমূলের হয়ে লড়াইয়ে নেমেছিলেন। কার্যত নিজের জনপ্রিয়তার জেরেই ওয়ার্ডে তৃণমূল জয়লাভ করে। ওই সাফল্যে প্রদীপ্তা দলের গুডবুকে উঠে এসেছিলেন। পেয়েছিলেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যানের পদ। করা হয়েছিল জেলা তৃণমূল সভাপতি। জেলা কোর কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রদীপ্তা। কিন্তু তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে দণ্ডী কেটে দেয় দণ্ডিকাণ্ড। ২০২৩ সালের ওই ঘটনার পর কার্যত দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। যদিও পরে ওই মামলায় সরাসরি অভিযোগ থেকে মুক্তি পেয়েছেন তিনি। কিন্তু দলের একাংশ আজও প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে প্রচার করে। কিন্তু অন্যপক্ষের দাবি, এমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি দলে। এই বিতর্ক টলাতে পারেনি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে।
কাউন্সিলার বলেন, ‘মানবিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষের পাশে থাকেন। তাঁর অনুপ্রেরণায় আমরাও মানুষের পাশে সবসময় থাকার চেষ্টা করি। আমি আমার ওয়ার্ডের মানুষদের নিজের পরিবারই মনে করি।’