সুবীর মহন্ত, বালুরঘাট: উত্তরবঙ্গের মধ্যে বালুরঘাট, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিকাঠামো, নিয়োগসহ একাধিক সমস্যা ছিল। কিন্তু তারপরেও পরের দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে সমস্যা আপাতত মেটার পথে। আলিপুরদুয়ারে উপাচার্য সরিৎকুমার চৌধুরী যোগদান করেই নতুন করে টি ম্যানেজমেন্ট কোর্সও চালুর উদ্যোগ নিয়েছেন। গতকাল দার্জিলিং হিল বিশ্ববিদ্যালয়েও নতুন উপাচার্য তেজমালা গুরুং যোগদান করেন। কিন্তু ব্যতিক্রমী দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Dakshin Dinajpur University)। নিয়োগপত্র পাওয়ার দেড় মাস পরেও এখনও কাজে যোগ দেননি নতুন উপাচার্য প্রণব ঘোষ। এমনকি বিল না মেটানোয় এবার বন্ধ হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারনেট, টেলিফোনের পরিষেবা। তবে সূত্রের খবর, গৌড়বঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের কারণে মঙ্গলবার জেলায় আসতে পারেন উপাচার্য। তবে তিনি কতদিন থাকবেন তা স্পষ্ট নয়। এই অবস্থায় সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করলেন বালুরঘাটের বিধায়ক অশোক লাহিড়ি। এদিন মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে চিঠি দিলেন অশোক লাহিড়ি।
অশোক লাহিড়ি বলেন, ‘২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মুখ্যমন্ত্রী জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছেন। পরবর্তীতে একাধিক কাজকর্ম হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা ব্যয় করে বালুরঘাটের মাহিনগর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ হয়েছে। পূর্ত দপ্তর থেকে ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার একটি যোজনাও অনুমোদন করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চালাতে গেলে একটি ন্যূনতম পরিষেবা দেওয়া দরকার। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছুই হয়নি। এখনও উপাচার্য কাজে যোগ দিচ্ছে না। ফলের নানা ধরনের সমস্যা হতে হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী ৭ বছর আগে যে আগ্রহের সঙ্গে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা করেছিলেন, ঠিক একই আগ্রহে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিষেবাগুলি চালু করা হোক। এনিয়ে আমি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রীকেও সেই প্রতিলিপি পাঠিয়েছি। আমি আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী নিজে এই ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।’
আগেই বন্ধ হয়েছে অতিথি অধ্যাপক থেকে শুরু করে কর্মী, ফিনান্স অফিসার সহ অন্যদের বেতন। সামনেই পরীক্ষা, তার আগে আগামী ২৩ তারিখ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফর্ম ফিলআপ শুরু হতে চলেছে। আর্থিক অভাবে সঠিক সময়ে রিনিউয়াল না করায় এবার বন্ধ হল ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা। ওয়েবসাইট বন্ধ থাকায় এবারে চিন্তায় পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। সবমিলিয়ে অভিভাবকহীন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি সবদিক থেকেই জটিল হতে শুরু করেছে। এমন সংকটজনক পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।