শুভ্রজ্যোতি রাহা, ডালখোলা: প্রশাসনের নজরদারির অভাবে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের ঠিক পাশে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সকলের পছন্দের নলপাঁপড়। সেই পাঁপড় বস্তাবন্দি হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে ডালখোলা সহ আশপাশের বাজারে। ওই ফ্যাক্টরির অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বানানো পাঁপড় কতটা সুরক্ষিত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ডালখোলা পুরসভার (Dalkhola) ১১ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ডাম্পিং গ্রাউন্ড। প্রতিদিন পুরসভা এলাকায় সংগ্রহ করা আবর্জনা ফেলা হয় সেই ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। আর ঠিক তার পাশেই রয়েছে পাঁপড়ের ফ্যাক্টরি। সেখানে গেলেই দেখা যাবে ফ্যাক্টারির ভেতরে মেশিন দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নলপাঁপড়। আবার শুকোতে দেওয়া হচ্ছে ফ্যাক্টরির খোলা উঠোনে। সেই পাঁপড়ে মাছি সহ বিভিন্নরকমের পতঙ্গ অবাধে উড়ে বেড়াচ্ছে। গন্ধ থেকে বাঁচতে ফ্যাক্টরির কর্মীরা নাকে গামছা বেঁধে কাজ করছেন। সেই ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেই ফ্যাক্টরিতে এসে উপস্থিত হয় মালিকপক্ষের প্রতিনিধি হিরন্ময় বিশ্বাস। তাঁর দাবি, ‘পাপঁড় শুকিয়ে গেলেই আমরা তা বস্তাবন্দি করে ফেলি। যার কারণে তা সুরক্ষিত। পুরসভা থেকে ডাম্পিং গ্রাউন্ডের সীমানা প্রাচীর হলেই আর কোনও সমস্যা হবে না।’
এব্যাপারে ডালখোলার বিশিষ্ট চিকিৎসক তথা বিজ্ঞানকর্মী ডাঃ পার্থপ্রতিম ভদ্র জানান ,‘কতটা স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং কীভাবে খাওয়ার জিনিস তৈরি হচ্ছে, তা প্রশাসনকে দেখা উচিত। পাশাপাশি এই সব ফ্যাক্টরিতে ফুড সেফটি নিয়ম মানা হয় কি না, সেই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নজরদারি চালানো উচিত। শহরের ডাম্পিং গ্রাউন্ডের পাশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ করা হলে তা যথেষ্ট উদ্বেগের কারণ।’
ডালখোলা পুরসভার পুরপতি স্বদেশচন্দ্র সরকার বলেন, ‘ডাম্পিং গ্রাউন্ডে বেশকিছু কাজ শুরু হবে। সেই কারণে দিনকয়েক আগে ডাম্পিং গ্রাউন্ড পরিদর্শনে যাওয়ার পর বিষয়টি আমার নজরে আসে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি ওই ফ্যাক্টরির না আছে ট্রেড লাইসেন্স, না আছে কোনও বৈধ নথি। অবিলম্বে ওই ফ্যাক্টরি পরিদর্শনে পুরসভার বিশেষজ্ঞ দলকে পাঠানো হবে। এভাবে জনসাধারণের স্বাস্থ্য নিয়ে ছেলেখেলা বরদাস্ত করা হবে না।’