ডালখোলা: মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে একাধিক প্রকল্প। কিন্তু নেই পরিষেবা। মাস তিনেক আগে বেশ ঢাকঢোল পিটিয়েই ডালখোলায় অমৃতধারা প্রকল্পে পানীয় জলের উদ্বোধন করেছিলেন করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল। তবে প্রকল্পই সার। পুরবাসীর অভিযোগ, উদ্বোধনের মাস তিনেকের মধ্যেই অনেকগুলো অমৃতধারা থেকে মিলছে না পানীয় জল।
পুরসভা সূত্রে খবর, চার লক্ষ সত্তর হাজার টাকায় পুরসভার বিভিন্ন এলাকায় বসানো হয়েছিল একাধিক পানীয় জল প্রকল্প। তার মধ্যে ডালখোলা থানায় ঢোকার মুখেই রয়েছে পুর অমৃত জল প্রকল্প। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অমৃতধারায় মাসখানেক থেকে জল পড়ছে না নল থেকে। বিকল হয়ে পড়েছে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিঠাপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের প্রকল্পটি।
সাত নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জ্যোতি সিদ্ধার কথায়, ‘অমৃতধারার জল ঠান্ডা থাকায় গরমকালে মানুষ বাড়িতে জল নিয়ে যায়। পুরসভার পক্ষ থেকে ঠান্ডা পানীয় জলের পরিষেবা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও জল পাচ্ছে না পুরবাসী।’
৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ইতি কর্ণ বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে অমৃতধারা চালু রয়েছে।’ পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হাজি ফিরোজ আহম্মেদের কথায়, ‘আমার ওয়ার্ডে জনসংখ্যা প্রায় আড়াই হাজার। একটি মাত্র অমৃতধারা। আরও একটা বসানো হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ধারায় জল না পড়লেও আরও একটি বসানো হবে বিনয় কলোনিতে। অকেজ ধারা অবিলম্বে সারানোর জন্য বলা হয়েছে।’
প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার ভবানীশংকর ঢালি বলেন, ‘জলে আইরনের কারণে ফিল্টার খারাপ হয়ে যাওয়ায় কয়েকটি ওয়ার্ডে জল পড়ছে না। ফিল্টার বদল করলেই সমস্যা মিটে যাবে।’
ডালখোলা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বদেশচন্দ্র সরকার বলেন, ‘জলে আইরনের জন্যই নল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মেরামতের জন্য মিস্ত্রি ডাকা হয়েছে। দুই চার দিনের মধ্যেই ঠিক করা হবে। আগামীতে আরও ২০টা পুর অমৃতধারা বসানোর জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছে।’