উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর তদন্ত নিয়ে বড় নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের সিট তৈরি করে দিয়েছে আদালত। আর সেই সিটের সদস্যদের নিয়েই শুরু হয়েছে জোর চর্চা। সিটের সদস্য করা হয়েছে রাজ্য পুলিশের আধিকারিক তথা আইপিএস দময়ন্তী সেন, প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত এবং প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন্দ্রনাথ বিশ্বাসকে।
এদের মধ্যে দময়নন্তী সেন রাজ্য পুলিশে কর্মরত হলেও বাকি দুজনেই প্রাক্তন পুলিশকর্তা। দময়ন্তী সেন পার্ক স্ট্রিট ধর্ষণ কাণ্ডের সময় থেকেই চর্চায় রয়েছেন। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ স্তরের মতামতের বিরুদ্ধে গিয়ে ধর্ষণ নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণ সামনে এনেছিলেন তিনি। পরবর্তীতে যা সত্যি প্রমাণিত হয়। কিন্তু তার পর থেকেই রাজ্য সরকারের খুব একটা গুড বুকে নেই দময়ন্তী। বাকি দুজনের মধ্যে উপেন বিশ্বাস লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির তদন্ত করে তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিশেষ পরিচিত। একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। অবসরের পর তৃণমূলের বিধায়ক হন, পরবর্তী কালে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। কিন্তু সেই উপেন এখন তৃণমূল তথা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কঠোর সমালোচক। বিভিন্ন সয়ম নানা টিভি শোতেও অংশ নিতে দেখা যায় তাঁকে। প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্তও সম্প্রতি নানা ঘটনায় প্রশাসন ও রাজ্যের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন। তাঁর নিরাপত্তা রক্ষীও প্রত্যাহার করে নেয় রাজ্য সরকার।
যার জেরে বিতর্ক ছড়ায়। যদিও পঙ্কজ দত্তর নিরাপত্তা ফের বহাল করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই তিনজনের উপরেই ভরসা রেখে সিট গড়ে দিয়েছেন আদালত। প্রয়োজনে ফের ময়নাতদন্ত করাতে পারবেন তদন্তকারীরা এমনটাও বলা হয়েছে আদালতের রায়ে। ফলে রাজ্য জুড়েই এই রায় ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। প্রশাসনের অলিন্দে জল্পনা, চাপের মুখে তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল। তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ না দিলেও আদালত যাদের নিয়ে সিট গড়ে দিয়েছে এবং নজরদারিতে তদন্তের কথা বলেছে তাতে নিঃসন্দেহে প্রশাসনের চাপ বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।