দার্জিলিং: দেওয়ালজুড়ে বেশ কয়েকটি স্থানীয় জনজাতির চরিত্র। প্রত্যেকের সাজসজ্জায় অভিনবত্ব। তার পাশেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিচ্ছে একটি পায়রা। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) স্থানীয় শিল্পীদের নিপুণ দক্ষতায় স্থানীয় সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য ফুটে উঠেছে নেহরু রোডের (Nehru Road) ধারের দেওয়ালে।
শৈলশহরকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে বেশ কিছু পদক্ষেপ করেছে পুরসভা। ম্যালের চৌরাস্তাকে কেন্দ্র করে নেহরু রোড, গান্ধি রোড, রাজভবনগামী রাস্তাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তোলা হয়। বিভিন্ন জায়গায় পর্যটক এবং সাধারণ মানুষের বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নেহরু রোডে খোলা আকাশের নীচে এই আর্ট গ্যালারি প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে পর্যটকদের। স্থানীয় মানুষ গর্ব প্রকাশ করছেন। দার্জিলিংয়ের পুর চেয়ারম্যান দীপেন ঠাকুরীর কথায়, ‘সকলের সহযোগিতায় দার্জিলিং শহরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। নেহরু রোডের এই আর্ট গ্যালারি তার অন্যতম নিদর্শন।’
এখানে পুরসভায় নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসার পর শহরের সাজসজ্জায় অনেকটাই অদলবদল আনা হয়। ম্যালের চৌরাস্তার ফোয়ারা পুনরায় চালু করা, নেহরু রোডজুড়ে পেভার্স ব্লক বসিয়ে রাস্তা সংস্কার হয়েছে। শহর সাফসুতরো রাখতে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয় ডাস্টবিন। ম্যালের চৌরাস্তা, নেহরু রোড, গান্ধি রোড, চকবাজার, রাজভবনের রাস্তা, মহাকাল মন্দিরের রাস্তা সবসময় পরিচ্ছন্ন রাখতে বিশেষ কর্মী নিয়োগ করেছে পুরসভা।
এসবের পাশাপাশি ম্যাল থেকে নেহরু রোডে বাঁদিকে বেশ কিছু নতুন বেঞ্চ বসানো হয়েছে। কেভেন্টার্সের উলটো দিকে অনেকটা জায়গাজুড়ে মার্বেল বসিয়ে বসার বন্দোবস্ত করেছে পুরসভা। এখানেই দেওয়ালজুড়ে ‘বেটার দার্জিলিং’-এর ব্যানার এঁকেছেন দার্জিলিংয়ের চিত্রশিল্পীরা। পাশের দেওয়ালে এর আগেই পুরসভার তরফে দেওয়াল চিত্র আঁকা হয়েছিল। সেখানে জায়গা করে নিয়েছে ইউনেসকোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমাপ্রাপ্ত টয়ট্রেন। ইঞ্জিনে চালকের আসনে রেডপান্ডা। পরের কোচের ভেতরে লোকনৃত্যে মেতেছেন কয়েকজন শিল্পী।
শিল্পীদের মধ্যে একজন রমেশ থামি। তাঁর ব্যাখ্যায়, ‘স্থানীয় সংস্কৃতিকে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে আমাদের এই উদ্যোগ। পাঁচজন মানুষের মুখ এঁকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যকে বোঝানোর চেষ্টা হয়েছে। এই কাজে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় লেগেছে।’