গোপালপুর: সন্ধ্যা নামলেই স্কুল চত্বর বদলে যায় নেশার আসরে। এলাকায় বহিরাগতদের আনাগোনা শুরু হয়। মাথাভাঙ্গা-১ ব্লকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বুড়াবুড়ি কৃষ্ণকান্ত মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের অবস্থা এমনই। স্কুল চত্বরে দিনের পর দিন নেশার আসর বসায় ক্ষোভে ফুঁসছেন স্থানীয়রা। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, সমাজবিরোধীরা সন্ধ্যার পর স্কুলের মাঠের দখল নেয়। সেখানে লাগাতার নেশার আসর বসে। স্থানীয়রা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও আদতে কোনও কাজ হয় না। এমনকি প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান চালানো হলেও কয়েকদিন মাত্র বন্ধ থাকে। তারপর সেই একই ছবি। এবিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমেশচন্দ্র ডাকুয়া বলেন, ‘স্কুল ছুটির পর আমরা বাড়ি ফিরে আসি। রাতে বহিরাগত দুষ্কৃতীরা স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছে। প্রায়দিনই স্কুলে এসে দেখি মদের বোতল পড়ে রয়েছে। মাঝেমধ্যে আমরা নিজেরাই সেসব পরিষ্কার করি। রাতের অন্ধকারে কে বা কারা এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে তা বুঝতে পারছি না। বিষয়টি অবশ্যই প্রশাসনকে জানাব।’
এক গ্রামবাসী বিমল রায় লস্করও একই কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘নিষেধ করলেও কেউ কথা শোনে না। দিনের পর দিন এভাবেই বহিরাগতরা স্কুলের পরিবেশ নষ্ট করছে। তাই আমরা চাই সন্ধ্যার পর এলাকায় নজরদারি চালাক পুলিশ। তাহলে স্কুলের পড়ুয়ারা পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে পাবে।’ এদিকে অনেকের দাবি, মদের বোতল স্কুল মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকায় পড়ুয়ারা ঠিকমতো খেলাধুলোও করতে পারে না। এনিয়ে গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হেমন্তি রায় মাঝি বলেন, ‘স্কুল মাঠে নেশার আসর কখনোই কাম্য নয়। আমরা বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনব।’ এদিকে মাথাভাঙ্গা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেলেই পুলিশ এলাকায় অভিযান চালাবে।
অন্যদিকে আরেক গ্রামবাসী মৃণাল রায় লস্কর জানান, স্কুল মাঠজুড়ে যেভাবে মদের বোতল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে তাতে শিশুদের মধ্যে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। স্কুল পড়ুয়ারাও এসব দেখে নেশার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়বে। একই দাবি এলাকার আরেক বাসিন্দা মনোজচন্দ্র রায়েরও। তাই স্কুলের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক, তা চাইছেন সকলেই।

