শামুকতলা: ব্যবসায়ী দিলীপ রায়ের তেমন বড় কোনও রাজনৈতিক পরিচয় নেই। তৃণমূলের সাধারণ কর্মী। তবুও এলাকায় তার আতঙ্ক রয়েছে। বুধবার দুপুরে এলাকারই তিন নিরীহ গ্রামবাসীকে বাড়িতে বেঁধে মারধর করার ঘটনায় দিলীপকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনায় ইতিমধ্যেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে বিজেপির পতাকা খোলার সময় এক কর্মী বাধা দেন। তখন দিলীপ ওই কর্মীকে মারধর করেছিল। তাতে ওই বিজেপি কর্মীর একটি চোখ নষ্ট হয়ে যায়। এরপরই তার তৃণমূলের কর্মী হিসেবে গুরুত্ব অনেকটাই কমে যায়। জানা গিয়েছে, সুদের ব্যবসা করে তার প্রচুর টাকা। সেই জোরে জুটেছে সাঙ্গোপাঙ্গও। গোটা এলাকায় সুদের ব্যবসার রীতিমতো জাল বিছিয়েছে। মোটর সাইকেল, স্কুটার বন্ধক রেখে মোটা অঙ্কের সুদ আদায় করে দিলীপ।
জানা গিয়েছে, দশ হাজার টাকায় ১০ দিনে ৩ হাজার টাকা সুদ নেয় সে। কেউ সুদের টাকা না দিলে নানারকম হুমকি এবং মারধর করে টাকা আদায় করে। তাকে এলাকার মানুষ রীতিমতো ভয় পান। এদিন তিনজনকে বেঁধে মারধর করার ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যেই পুলিশ দিলীপকে গ্রেপ্তার করে। তবে বাকি অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। এই ঘটনায় বিজেপি দিলীপ এবং তার পরিবারের অভিযুক্ত সবার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছে।
কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ বলেন, ‘দিলীপ তৃণমূল কর্মী। এর আগেও আমাদের এক বিজেপি কর্মীকে মারধর করে একটি চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। সে এলাকায় সুদের ব্যবসা ছড়িয়ে বসেছে। এলাকার মানুষের কাছে টাকা ধার দিয়ে মোটা অঙ্কের সুদ আদায় করছে। তৃণমূল নেতা-কর্মীরা তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় না। তৃণমূলের অনেক নেতা-কর্মী এই ধরনের অনৈতিক কাজের সঙ্গে যুক্ত।’
তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার ব্লক সভাপতি পরিতোষ বর্মন বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। দিলীপ রায় আমাদের দলের সদস্য নয়। এই ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক সেটা আমরাও চাই। বিজেপি সবকিছুর মধ্যে রাজনীতির গন্ধ খুঁজে বেড়ায়।’