উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লি জয়ে মরিয়া আপ, বিজেপি। অন্যদিকে, বিধানসভায় খাতা খোলার চ্যালেঞ্জ নিয়ে ময়দানে নেমেছে কংগ্রেস। ত্রিমুখী টানাপোড়েনে উত্তেজনার পারদ চড়ছে। তবে ৩ প্রধান রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এবার দিল্লি বিধানসভায় প্রার্থী দিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। লড়াইয়ে রয়েছে নির্দলরাও। সোমবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের সময়সীমা শেষ হওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বিধানসভার ৭০টি আসনে ৭০০-র বেশি প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নির্বাচন কমিশনের সূত্র বলছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে (Delhi Polls) মোট প্রার্থীর সংখ্যা ৭১৯। সবচেয়ে বেশি প্রার্থী লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছেন নয়াদিল্লি (New Delhi) কেন্দ্র থেকে। ২৯ জন।
২০১৪ থেকে এই আসনটি ধরে রেখেছেন আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাঁর বিরুদ্ধে প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের পুত্র সঞ্জয় দীক্ষিতকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। ২০১৪ পর্যন্ত এই নয়াদিল্লি আসন থেকেই বিধায়ক ছিলেন শীলা দীক্ষিত। সঞ্জয়কে সামনে রেখে হারানো আসন পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে কংগ্রেস। বিজেপি প্রার্থী করেছে পরবেশ সিং বর্মাকে। পরবেশও দিল্লির আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সাহেব সিং বর্মার ছেলে। এমন একটি হাইপ্রোফাইল আসনে প্রার্থীদের দীর্ঘ তালিকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
প্রার্থী সংখ্যার নিরিখে ওপরের দিকে রয়েছে মাটিয়ালা (২৫ জন) ও বুরারি (২২ জন)। এর মধ্যে বুরারি আসনটি জোটসঙ্গী নীতীশ কুমারের জেডিইউকে ছেড়ে দিয়েছে বিজেপি। মুন্ডকা, লক্ষ্মীনগর ও রোহতাসে ২০ জন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সবচেয়ে কম মনোনয়ন জমা পড়েছে কস্তুরবানগরে। সেখানে মাত্র ৬ প্রার্থী লড়াই করছেন।
২০২০-র ভোটে দিল্লির ৭০টি বিধানসভার মধ্যে ৬২টিতে জয় পেয়েছিল আপ। ৮টি গিয়েছিল বিজেপির ঝুলিতে। ৮ থেকে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছোতে মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। কংগ্রেসও ৭০টি আসনেই নিজেদের উপস্থিতি জানান দিচ্ছে। বিরোধীদের চাপের মুখে জনমোহিনী নীতিকে আরও বেশি করে আঁকড়ে ধরেছে টিম কেজরিওয়াল। দিল্লিতে ক্ষমতায় ফিরলে মহিলা আর্থিক সহায়তা, হিন্দু পুরোহিত এবং শিখ গ্রন্থিদের মাসিক ভাতা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আপ। এছাড়া প্রবীণদের জন্য স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করার কথা জানিয়েছে দিল্লির শাসকদল। এর আগে পশ্চিমবঙ্গ, মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্রে মহিলাদের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রকল্প চালু করার প্রতিশ্রুতি সংশ্লিষ্ট শাসকদলগুলিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে সাহায্য করেছে। সেই পরীক্ষিত কৌশলেই বাজিমাত করার চেষ্টা করছে আপ। কেজরিওয়ালের জনমোহিনী প্রতিশ্রুতির বিপরীতে পালটা ভাতা-সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। সব মিলিয়ে দিল্লির আসন্ন ভোট যেন জনমোহিনী নীতির পরীক্ষাগারে পরিণত হয়েছে।