সায়ন ঘোষ, কলকাতা: তখন পড়ন্ত বিকেল। অনুশীলন শেষে এক এক করে বেরিয়ে আসছেন মোহনবাগান সুপার জায়েন্টের ফুটবলাররা। পরিচিত সাংবাদিকদের দেখে হাসিমুখে মাথা নাড়লেও ডার্বি নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছেন তাঁরা। দেখে বোঝার উপায় নেই ২৪ ঘণ্টা পরে বাঙালির আবেগের মহারণে নামবেন বাগান ফুটবলাররা। ডার্বির বদলে আনোয়ার আলি থাকবেন কিনা, তা নিয়েই উত্তেজনা রইল বাগান শিবিরে। যদিও আনোয়ারকে কলকাতা লিগের জন্য ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করানো হয়েছে।
অনুশীলনে কিন্তু বেশ ফুরফুরে মেজাজেই দেখা গেল মোহনবাগানকে। নিজেদের মধ্যে খুনশুটি করতে দেখা গেল রাজা বর্মন, দীপেন্দু বিশ্বাসদের। আসলে বাগান শিবির নিজেদের চাপমুক্ত রাখতে চাইছে। ডার্বির আগে দলের টিম কম্বিনেশন বাড়ানোর দিকেই নজর দিলেন বাগান কোচ কার্ডোজা। এদিন অবশ্য মূল দলের সঙ্গে অনুশীলন করেননি আশিক কুরুনিয়ান ও শিবাজিৎ সিং। তারা সাইড লাইনে রিহ্যাবে ব্যস্ত ছিলেন।
শেষ কবে ডার্বিতে মোহনবাগান এতটা পিছিয়ে থেকে শুরু করছে ফুটবলপ্রেমীরা মনে করতে পারছেন না। বিগত কয়েক বছর ধরে ডার্বিতে ফেভারিট হিসেবে মোহনবাগানকে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন সমর্থকরা। চলতি কলকাতা লিগে সবুজ-মেরুন শিবিরের পারফরমেন্স একেবারেই আহামরি নয়। প্রথম দুই ম্যাচে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট নষ্ট করেছে ডেগি কার্ডোজার ছেলেরা। বিশেষ করে দলের ভঙ্গুর রক্ষণ কিন্তু চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বাগান শিবিরের। উলটোদিকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণভাগ কিন্তু দারুণ ছন্দে রয়েছে। গোলের মধ্যে থাকা সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, আমন সিকেদের থামানোই বড় চ্যালেঞ্জ দীপেন্দুদের কাছে।