গৌরহরি দাস, কোচবিহার: মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বৈধ বলার পরেও চাকরিতে কেন তাঁদের পুনর্বহাল করা হচ্ছে না, তার প্রতিবাদে সোমবার কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডলকে রাত এগারোটা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখা হল। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে ‘চাকরি বাতিল হওয়া’ গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাঁকে ঘেরাও করে রাখেন এদিন। শেষ পর্যন্ত ডিআই স্কুলগুলিকে বোর্ডের কথা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের লিখিত নির্দেশ পাঠালে ঘেরাও তুলে নেওয়া হয়।
শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের অন্য জেলার পাশাপাশি কোচবিহারের কয়েকশো গ্রুপ ডি, গ্রুপ সি কর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যায়। এরপর হাইকোর্টের সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে গেলে সুপ্রিম কোর্ট তাতে স্টে অর্ডার জারি করে। এরপরই পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে প্রতিটি জেলার বিদ্যালয় পরিদর্শকের দপ্তরে নির্দেশ পাঠানো হয়, যাঁদের চাকরি চলে গিয়েছিল তাঁদের চাকরি বৈধ।
যদিও বোর্ড এই নির্দেশ পাঠালেও গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্কুলে জয়েন করানো হবে কিনা, কিংবা জয়েন করালে কীভাবে তা হবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু জানায়নি। যে কারণে স্কুলগুলিও তাঁদের জয়েন করায়নি। স্কুল কর্তৃপক্ষগুলি এবিষয়ে ডিআই-এর কাছে জানতে চেয়েছে, তারা কী করবে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের কী করণীয় তা জানতে চেয়ে গত ১০ মে বোর্ডের কাছে চিঠি পাঠান কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক)।
সোমবার ডিআই-এর দপ্তরে এসে তাঁকে ঘেরাও করে রাখেন ওই গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মী ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এবিষয়ে কোচবিহার জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) সমরচন্দ্র মণ্ডল জানান, এদিন প্রায় রাত ১১টা পর্যন্ত তাঁকে তাঁর দপ্তরে ঘেরাও করে রাখা হয়। শেষ পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের চাপে বাধ্য হয়ে তিনি বোর্ডের কথা অনুযায়ী পদক্ষেপ করার জন্য স্কুলগুলিতে লিখিত নির্দেশ পাঠিয়েছেন।