আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে প্রায় ৮০ জন ডায়ালিসিসের রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন। একটিমাত্র মেশিনের ওপর ৬৫ জন রোগীর ডায়ালিসিস নির্ভর করছে। সময় বাঁচাতে ৪ ঘণ্টার পরিবর্তে রোগীদের মাত্র ২ ঘণ্টা ডায়ালিসিস করেই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। ডায়ালিসিসের সময় কমিয়ে দেওয়ায় ৬৫ জন রোগীর স্বাস্থ্যের ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে কেন? জেলা হাসপাতালে ৫টি ডায়ালিসিসের মেশিন রয়েছে৷ তার মধ্যে ১টি মেশিনে হেপাটাইটিস-বি এবং এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের ডায়ালিসিস করা হয়৷ বাকি চারটি মেশিনে অন্যান্য রোগীর ডায়ালিসিস করা হত। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে অন্য রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৩টি ডায়ালিসিস মেশিন বিকল হয়ে রয়েছে। ফলে ১টি মেশিনেই কোনওমতে ডায়ালিসিসের পরিষেবা চলছে।
কিন্তু এমনটা হচ্ছে কেন? জেলা হাসপাতালে ৫টি ডায়ালিসিসের মেশিন রয়েছে৷ তার মধ্যে ১টি মেশিনে হেপাটাইটিস-বি এবং এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের ডায়ালিসিস করা হয়৷ বাকি চারটি মেশিনে অন্যান্য রোগীর ডায়ালিসিস করা হত। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে অন্য রোগীদের জন্য নির্ধারিত ৩টি ডায়ালিসিস মেশিন বিকল হয়ে রয়েছে। ফলে ১টি মেশিনেই কোনওমতে ডায়ালিসিসের পরিষেবা চলছে।
আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘তিনটি মেশিন বিকল হয়ে রয়েছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। তবে ১০টি নতুন মেশিন বসানো হবে। তারপর আর সমস্যা থাকবে না।’ তাঁর আশ্বাস, ‘ফালাকাটা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালেও নতুন পাঁচটি মেশিন বসবে। আমরা দ্রুত পরিস্থিতি সামলে নেব।’
বর্তমানে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে ডায়ালিসিসের যেসব রোগী রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ১৪ জন হেপাটাইটিস-বি এবং এইচআইভি পজিটিভ রোগী রয়েছেন। এই ১৪ জন রোগীর জন্য ডায়ালিসিসের জন্য নির্দিষ্ট মেশিনটি সচল রয়েছে। ফলে, হেপাটাইটিস-বি এবং এইচআইভি পজিটিভ রোগীদের ডায়ালিসিসের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু বাকি যে ৬৫ জন রোগী রয়েছেন তাঁদের ভরসা মাত্র একটি মেশিন।
মৌ চৌধুরী (সূত্রধর) নামে জংশনের এক গৃহবধূর সপ্তাহে তিনদিন ৪ ঘণ্টা করে ডায়ালিসিস করার কথা। কিন্তু ওই গৃহবধূর দাবি, তাঁর ডায়ালিসিসের সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। মৌয়ের স্বামী শুভেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘আমার স্ত্রীর ডায়ালিসিস চলছে। কিন্তু মেশিন বিকল থাকায় সময়মতো ডায়ালিসিস করা হচ্ছে না। ৪ ঘণ্টার পরিবর্তে মাত্র ২ ঘণ্টা ডায়ালিসিস করা হচ্ছে।’ এর ফলে তাঁর স্ত্রীর স্বাস্থ্যের অবনতি দেখা দিয়েছে, অভিযোগ শুভেন্দুর। এখন জেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগীদের কারও সপ্তাহে দুইদিন, কারও আবার সপ্তাহে একদিন ডায়ালিসিস করাতে হচ্ছে। একটিমাত্র মেশিনে এতজন রোগীর ডায়ালিসিস করতে পারছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে রোগীদের ডায়ালিসিসের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, ৬৫ জন নেগেটিভ রোগীর মধ্যে গত দুই-তিন সপ্তাহ ধরে কয়েকজন রোগীর ডায়ালিসিস বন্ধ রয়েছে।
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের সুপার পরিতোষ মণ্ডল বলেন, ‘হাসপাতালের সিসিইউ রুমে নতুন ডায়ালিসিসের মেশিন বসানো হবে। ওই রুমের কাজ চলছে। আরও তিন সপ্তাহ মতো সময় লাগবে। তারপরেই নতুন মেশিন চালু হয়ে যাবে।’