শুভজিৎ দত্ত, নাগরাকাটা: পানীয় জলসংকট মোকাবিলায় এবার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের নয়া কৌশল পুকুর(Pond) খনন। জলাশয় তৈরি করে সেই জল পরিষ্কার করে তা পাম্পের সাহায্যে জলাধারে তোলা হবে। তারপর পাইপযোগে পৌঁছে যাবে বিস্তীর্ণ এলাকায়। ইতিমধ্যেই নাগরাকাটার(Nagrakata) জলসংকট কবলিত চ্যাংমারি চা বাগানের লালঝামেলা বস্তিতে ওই পন্থা সফল হয়েছে। এবারে করা হচ্ছে নাগরাকাটা বস্তিতে। ইতিমধ্যেই পুকুর খুঁড়ে সেখানে জল মিলেছে। আরও কাজ চলছে।
দপ্তরের জলপাইগুড়ির সহকারী বাস্তুকার শুভঙ্কর রায় বলেন, ‘চ্যাংমারির প্রকল্পটি সফল হয়েছে। এবারে নাগরাকাটা বস্তিতে কাজ চলছে। সেখানে জল মিলে গেলেও ধারাবাহিকভাবে পাম্প দিয়ে নিষ্কাশন করে দেখা হচ্ছে আরও কতটা খোঁড়া দরকার। প্রকল্পটি ওখানেও যদি সফল হয় তবে তল্লাটের বিস্তীর্ণ এলাকার পানীয় জলের সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।’
জানা গিয়েছে বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে জলের স্তর নেমে যাওয়ায় পাহাড়ি ঢালে অবস্থিত জেলার নানা স্থানের জলপ্রকল্পে চাহিদা মোতাবেক জল মেলে না। এদিকে পানীয় জল না পাওয়ার ক্ষোভ-বিক্ষোভের ঘটনা লেগে থাকে। নাগরাকাটার যে এলাকায় পুকুরের জল শোধন করে জলাধারে তুলে সরবরাহের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে সেখানকার বাসিন্দারাও মাসখানেক আগে জল না পেয়ে রাস্তা অবরোধে শামিল হয়েছিলেন। সমস্ত দিক বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর সেখানে নয়া কৌশল বেছেছে।
যে পুকুরটি খোঁড়া হচ্ছে তা অন্তত ৪০ ফুট গভীর হবে। দৈঘ্য ও প্রস্থ যথাক্রমে ১৫০ ও ১৩০ ফুট। ওই জলাশয়ের অন্তত ১০০ ফুট ওপরে চা গবেষণা সংস্থা লাগোয়া এলাকায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ৫ লক্ষ লিটার আয়তনের বিশাল জলাধার আগেই নির্মাণ করা হয়েছিল। দুটি পাম্পহাউস দিনরাত চালু থাকলেও ভূগর্ভস্থ জলের স্তর বিশেষ করে এপ্রিল-মে মাসে নেমে যাওয়ার কারণে সেখানে পর্যাপ্ত জল মেলে না। এবারে পাম্প দিয়ে জল সেখানে পৌঁছে সঞ্চয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
পুকুর খোঁড়ার কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা পাকু রায় বলেন, ‘লালঝামেলা বস্তির পর এরকম কাজ জলপাইগুড়িতে এটা দ্বিতীয়। প্রথমটি সফল হয়েছে। আশা করছি এটাও হবে। দপ্তরের প্রত্যেকে নিয়মিত এখানে এসে সবকিছু দেখে যাচ্ছেন।’