নকশালবাড়ি: উপস্বাস্থকেন্দ্রের বেহাল দশায় ক্ষোভ বাড়ছে বাসিন্দাদের। সাপের ভয়ে রোগীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রমুখী হচ্ছেন না। এলাকার একমাত্র উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাওয়ার রাস্তা জলকাদাময়। দু’দিকে চা বাগান ও জঙ্গলপূর্ণ। উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি মান্ধাতা আমলে তৈরি কাঠের ঘর বিষধর সাপের আস্তানা তৈরি হয়েছে। টিনের শেড থেকে বৃষ্টির জল পড়ছে। কাঠের সিঁড়ি বেয়ে ওঠানামা করতে হয় প্রসূতিদের। যে কোনও সময় সিঁড়ি ভেঙে দুর্ঘটনার শঙ্কা থাকছে। ধারাবাহিক বৃষ্টিতে এখানে বিষধর পতঙ্গ ও সাপের ঘাঁটি তৈরি হয়েছে। এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র ঘিরে তাই নকশালবাড়ি চা বাগানের বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। এখান থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান জয়ন্তী কিরোর বাড়ি। প্রধানের এলাকায় উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের এমন বেহাল দশা নিয়ে চা শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। পাশেই দোতলা নতুন ভবন তৈরির কাজ থমকে আছে। স্থানীয়রা জানান, এক বছর ধরে এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে কাজ বন্ধ। ফলে, বাসিন্দাদের এখনও ভরসা সেই কাঠের ঘর। বেশ কিছুদিন ধরে কাঠের ঘরে বিষধর সাপ ডেরা বেঁধেছে। চলতি পথে যখন তখন সাপ দেখা যাচ্ছে। এনিয়ে সবাই রীতিমতো আতঙ্কিত। সদ্য প্রসূতিরা নবজাতকদের নিয়ে আসতে চাইছেন না।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে শিলিগুড়ি মহকুমার চার ব্লকেই অতিরিক্ত ৩৬টি সুস্বাস্থ্যকেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। অথচ নকশালবাড়ি চা বাগানের উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে ধরা পড়ল চূড়ান্ত অব্যবস্থার ছবি। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বাস্তবে পরিত্যক্ত স্থানের রূপ নিয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা করাতে আসতেও দ্বিধাগ্রস্ত স্থানীয়রা। বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষের চিকিৎসায় এটি তৈরি হলেও আজ সেটি চূড়ান্ত বেহাল। আর্থিক অসামর্থ্যে চা বাগানের প্রসূতিরা বাধ্য হয়ে এখানে চেকআপে যান। স্থানীয় বাসিন্দা সুমন্তী উৎপল এদিন ১৮ মাসের শিশুকে নিয়ে এসেছিলেন। তিনি বলেন, ‘পাশেই দোতলা ভবনটি দ্রুত চালু হলে মায়েদের সুবিধা হয়। চারিদিকে জঙ্গল, কাঠের ঘরে যে কোনও সময় বিষধর পোকামাকড় শিশুকে কামড়ে দিতে পারে। আতঙ্কে বাচ্চাকে সবসময় কোলে রাখি।’ বছর সত্তরের জুবেদা খাতুন জানান, বৃষ্টিতে বিষধর সাপ এখানে আশ্রয় নেয়। মাটির রাস্তায় সবসময়ই সাপ দেখা যায়। গোটা রাস্তা জলকাদা ভরা। সিঁড়ি চড়ে উপরে উঠতে কষ্ট হয়। নতুন ভবন চালু হলে সবার সুবিধা হবে। মামুনি মুন্ডা দ্রুত উপস্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বর সাফাইয়ের দাবি জানান। লাগোয়া চারটি বাগানের দুই থেকে তিন হাজার মানুষ এর উপর নির্ভরশীল। এপ্রসঙ্গে এখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।
মেটেলিঃ পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা পশ্চিম ডুয়ার্সের সামসিং। এলাকার অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে সামসিং…
ময়নাগুড়ি: বর্ষাকালে জঙ্গলে প্রবেশ নিষিদ্ধ। তা বলে পর্যটকদের আসা তো আর নিষিদ্ধ নয়। এই পরিস্থিতিতে…
চাঁদকুমার বড়াল, কোচবিহার: কর্মশ্রী প্রকল্পে (Karmashree Prakalpa) উত্তরবঙ্গের আট জেলার এক লক্ষেরও বেশি মানুষকে কাজ…
সানি সরকার, শিলিগুড়ি: কালিম্পংয়ের (Kalimpong) পর কি বিপজ্জনক হয়ে উঠছে দার্জিলিংও (Darjeeling)? কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে…
ভূপেশ রায় মাত্র কয়েকদিন আগে ফাঁসিদেওয়া ব্লকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে বাচামুনি টুডু নামে এক আদিবাসী…
This website uses cookies.